চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র গোপনে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটা ও অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ছে। এখন থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কৃষি জমিতে কোনো ধরণের স্থাপনা করা যাবে না। সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে সব্জি চাষ ও বৃক্ষের চারা রোপনের আওতায় এনে ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন–শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্সে রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারি জমি ও পাহাড় উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, সরকারি রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, সিএমপির এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, দি চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), তৌহিদুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।