কালুরঘাট সেতু সংস্কার করে চলবে কক্সবাজার রুটের ট্রেন

সাড়ে ৮ কোটি টাকা পরামর্শ ফি নেবে বুয়েট, শীঘ্রই চুক্তি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে শেষ হবে কাজ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

পুরনো কালুরঘাট সেতু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন কালুরঘাট সেতুর নকশা পরিবর্তন হওয়ায় এবং প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই (বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে) সরকারের কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে না। তাই রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে সংস্কার করে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বুয়েটের দেয়া প্রস্তাবনাও অনুমোদন করা হয়েছে। এখন চুক্তি হবে, এরপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে বুয়েট। এমনটা জানিয়েছেন রেল ভবনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। পুরনো কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েট তাদের পরামর্শ ফি বাবদ প্রথমে ১২ কোটি টাকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সম্মত হয়েছে। এখন চুক্তি হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন নতুন নকশায় প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এরপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে ঋণ চুক্তি শেষে একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আমরা কালুরঘাট সেতু দিয়ে কঙবাজার রুটে ট্রেন চালু করবো। প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। মেরামতের ব্যাপারে বুয়েটের সাথে খুব শীঘ্রই রেলওয়ের চুক্তি হবে। তারা ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কাজ শুরু করবে।
তিনি বলেন, একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার, তারপর ঠিকাদার নিয়োগ ও পরামর্শক নিয়োগ হবে। এসব অনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে আমরা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবো।
এদিকে স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কঙবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। গত জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭৩ শতাংশ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কঙবাজারে নির্মিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং আইকনিক রেল স্টেশনের মূল ভবনের কাজ। ঝিনুকের আদলে রূপ পাচ্ছে কঙবাজার রেল স্টেশনটি। বাকি ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে কঙবাজারে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-কঙবাজার রেলপথ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা কাজ করছি। যদিও আমার প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের ট্রেন চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। এরপর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসি শুরু ৬ নভেম্বর