কাবুলে নারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি

| রবিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২২ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তালেবান যোদ্ধারা তাদের মারধর করেছে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের আগস্টে রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে তালেবান পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে তালেবানের শাসনের এক বছরের মাথায় নারীদের বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণের খবর সামনে এলো। এএফপির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তালেবান নারীদের ওপর বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও কমিয়ে আনা হয়েছে। আর্থিক সংকট আর তালেবানের ক্রোধ এড়াতে এরই মধ্যে বেসরকারি খাতেও নারী কর্মীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্ব শ্রম সংস্থার একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে যে, আফগানিস্তানে কর্মসংস্থানে নারীর সংখ্যা অসম হারে কমেছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এর পরিমাণ হচ্ছে ১৬ শতাংশ। কর্মসংস্থানে পুরুষের সংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ। নারীদের এই সংখ্যা ২৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। দেশটিতে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের আগে কর্মক্ষেত্রে নারী উপস্থিতি ছিল ২২ শতাংশ। যদিও বাস্তব চিত্র এখনো হতাশাজনক।

তবে এটি আফগানিস্তানের মতো পিতৃতান্ত্রিক ও রক্ষণশীল সমাজে সামাজিক অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটায়। বিশ্বব্যাংকের সমপ্রতি একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষদের ২৬ শতাংশের তুলনায় আফগানিস্তানে ৪২ শতাংশ নারী মালিকানাধীন ব্যবসা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে প্রায় ৪০ জন নারীকে খাবার, চাকরি এবং স্বাধীনতার স্লোগান দিয়ে কাবুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

সে সময় ওই বিক্ষোভ থামাতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তালবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠেছে যে, তারা বেশ কয়েকজন নারীকে মারধর করেছেন। ওই বিক্ষোভে নারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ১৫ আগস্ট একটি কালো দিন। তারা কর্মক্ষেত্র এবং রাজনীতিতে নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে ওই বিক্ষোভের খবর প্রচারের সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও তালেবানের হামলার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্পের বাড়িতে অতি গোপনীয় নথি পেয়েছে এফবিআই
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় ক‌মিশনার