চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. মঈন উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ মহিউদ্দিন ভান্ডারিকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. সোহেল চৌধুরী (৩৫) গত বৃহস্পতিবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ইনচার্জে থাকা ওসি তদন্ত মো. মেহেদী হাসান ও বাদী সোহেল চৌধুরী নিজেই। জানা যায়, মামলার আইও এসআই অমিতাভ দত্ত।
আসামিরা হলেন-কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়নের কোদাইল্যাপাড়ার ফটকার গোষ্ঠির বাড়ির আব্দুস সবুরের ছেলে মোঃ ইলিয়াছ (৩৮), এমাজ উদ্দিন (২৮), ইমতিয়াজ (২৫), এজাজ উদ্দিন (২৯) ও আব্দুল গণির ছেলে বদি আলম (৩৩)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি ইলিয়াছের ১৮ বছরের এক মেয়ে একই এলাকার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের ২১ বছর বয়সি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে (গত ১১ ফেব্রুয়ারি) দুইজন পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিস করার জন্য বাদীর পিতা মো. মঈন উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ মহিউদ্দিন ভান্ডারিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয়ভাবে তা মিমাংসা করে দেন।
পরবর্তীতে গত ১৮ জুন সকাল ১১ টার সময় হারুনের ছেলে ইলিয়াছের বাড়ির সামনে দিয়ে মাষ্টারহাট বাজারে যাওয়ার সময় তাকে গালিগালাজ করে মারধর করেন।
এ ঘটনাটি ছেলের অভিভাবকরা সালিশকারক মহিউদ্দিন ভান্ডারিকে ফোনে জানান। পরে তিনি ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় বাদী সোহেল ও নেজাম উদ্দিন (৩৪) সহ কেন মারধর করেছে তা জিজ্ঞাসা করার জন্য ইলিয়াছের বাড়ির সামনে যান। তাদেরকে দেখে মামলায় অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরে বসতঘরের ছাদের উপর থেকে ইট ছুঁড়লে তা মাথায় পড়ে মহিউদ্দিনের মাথার বাম পাশে পড়ে গুরুতর জখম হয়। অন্যান্য আসামিরাও এলোপাথাড়ী ইট পাটকেল ছুঁড়লে বাদীসহ নেজামকে আঘাত প্রাপ্ত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত মহি উদ্দিন কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিএনজি যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মহি উদ্দিন দেখে কে নিউরোসার্জারী বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের ২২ নম্বর বেডে ভর্তি দেন।
এ প্রসঙ্গে ইনচার্জে থাকা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মো. মেহেদী হাসান জানান, ‘শিকলবাহায় মারামারির ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।’