চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উপদেষ্টা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ–সভাপতি লায়ন এম শামসুল হক, উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুর রহমান ও সদস্য আলহাজ্ব খায়রুল বশরের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজাদী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি বলেন, আজকে যাদের জন্য আমরা এখানে মিলিত হয়েছি তাঁরা চারজনই ছিলেন কমার্স কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। চারজনই কমার্স কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এর মাধ্যমে তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বর্তমানে ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, কমার্স কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির ছোট ভাই আফসার উদ্দিন সেলিম, লায়ন এম শামসুল হকের সন্তান প্রকৌশলী রিদোয়ানুল হক, কাজী শামসুর রহমানের বড় মেয়ে কাজী রুমানা রহমান, খায়রুল বশরের একমাত্র সন্তান মো. ফরহান হাসনাত। আরো বক্তব্য রাখেন, সমিতির সহ–সভাপতি আবুল হাসেম, নুরুল আমিন খান, অধ্যাপক দিলিপ দাস, সোলায়মান খান, আনম ওয়াহিদ দুলাল, রাসেদুল আমিন, আবদুল জব্বার, হারুন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, হাফিজুর রহমান, শাহাজাদা এনায়েত উল্লা খান, সাংবাদিক মইনুদ্দিন কাদের শওকত, সাংবাদিক জাদেুল করিম কচি, খায়রুল ইসলাম কঙি। সভার শুরুতে দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সভায় বলা হয়, চারজনের মধ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম–৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও লায়ন এম শামসুল হক আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এর আগে অধ্যাপক শামসুর রহমান ও আলহাজ্ব খায়রুল বশর মৃত্যুবরণ করেন। এমপি মোছলেম উদ্দিন একজন সফল সংগঠক ছিলেন। কমার্স কলেজ ছাত্র সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য ছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ ক্রীড়া জগতেও অবদান রেখেছেন। লায়ন এম শামসুল হক বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি শিক্ষা নিয়েই থাকতেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি অবদান রেখেছেন। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। আলহাজ্ব খায়রুল বশর সমাজসেবা নিয়ে কাজ করে গেছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষায় এবং উন্নয়নের একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অন্যদিকে অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সারা জীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখে ছিলেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পেছনেও অনন্য অবদান রেখেছেন তিনি।