বঙ্গোপসাগরে এক রাতে চার ট্রলারে ডাকাতি

সাগরে নিক্ষিপ্ত চার জেলে এখনও নিখোঁজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে এক রাতে চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় বাধা দেওয়ায় একটি ট্রলারের চার জেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়েছে জলদস্যুরা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল শনিবার রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি বলে জানায় কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন গতরাত ৯টার সময় জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডসহ সমিতির অন্যান্য ট্রলারগুলোকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ জেলেরা হলেন, অলি আহমদ, মো. আনিস, মো. জিয়া ও মো. দেলোয়ার হোসেন। তারা সদর উপজেলার খুরুশকূলের মো. জকরিয়ার মালিকানাধীন এফবি হাসান নামের মাছ ধরার ট্রলারের জেলে। ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকদের বরাতে দেলোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কঙবাজার শহরের কলাতলী উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের ১৪ বিউ (১৪ মিটার গভীরতাসম্পন্ন সাগর) নামক এলাকায় মাছ ধরছিল চারটি ট্রলার। এরমধ্যে এফবি হাসানে ১৯ জন জেলে ছিল। জলদস্যুরা ট্রলারটির মাছ, জালসহ সবকিছু লুট করে নেয়। এসময় ডাকাতদের বাধা দিলে তারা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল করে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, এফবি হাসানের পর জলদস্যুরা কিছু দূরে মাছ ধরার আরও তিনটি ট্রলারে একে একে ডাকাতি করে। ওই ট্রলারগুলো থেকে মাছ, জালসহ মালামাল লুট করার পর ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতির শিকার অপর ট্রলারগুলোর মধ্যে শহরের নূনিয়াছড়ার শুক্কুর কোম্পানির ও নতুন বাহারছড়ার শাহীনুল হকের ট্রলারও রয়েছে। অপর ট্রলারটির মালিকের নাম জানা যায়নি।

কঙবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বলেন, কঙবাজারের টেকনাফ থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত উপকূলজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই বোট ডাকাতি হচ্ছে। পুরনো ডাকাতেরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে রমজান উপলক্ষে হামলে পড়ছে জেলেদের উপর। তিনি অবিলম্বে জলে ও স্থলে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবী জানান। বোট মালিক সমিতির নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সকালে এফবি হাসানের মালিক মো. জকরিয়া কঙবাজার সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ জানায়, এলাকাটি তাদের আওতাধীন নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমার্স কলেজের চার প্রাক্তন ছাত্রকে স্মরণ
পরবর্তী নিবন্ধমোবাইল নয়, বই হোক নিত্যসঙ্গী