কবে নাগাদ খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান?

| বুধবার , ২৩ জুন, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

করোনা বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ হতে বন্ধ আছে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।মোবাইল, টেলিভিশন, ইন্টারনেট না থাকায় তারা দূরশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে না।অনলাইনভিক্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পুরো দেশে বেড়ে গেছে বাল্যবিবাহ। গ্রামীণ অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ না থাকায় পিতা-মাতার সাথে বেছে নিচ্ছে উপার্জনের পথ।ওই সব শিক্ষার্থীরা আর হয়ত কোনোদিন স্কুল, কলেজ ফিরতে পারবে না।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে বলে বার বার ঘোষণা দিয়ে ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার কথা বলে যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টসহ সব প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক। তবে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সংক্রমণের বিস্তার আসলেই কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব? বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি হবে।আমরা ফিরে যেতে চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে। খুলে দেওয়া হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চায়ের কাপে চামচের ঠনঠন শব্দ, উত্তেজনা, পরিকল্পনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ে ফুঁসে ওঠা, সেই সোনালী দিনগুলো মোরা চাই। আবার শুরু করিতে চাই মোরা নতুন উদ্যমে পাঠ্যসূচির পড়া। গুছিয়ে নিতে চাই মোরা জীবনের পাতা। নচেৎ ঝরে যাবে অসহায় শিক্ষার্থীর প্রাণ। কে নিবে এই অসহায় শিক্ষার্থীর দায়ভার? সবাই মনে -প্রাণে হাতে হাত মিলিয়ে চলুন সবাই সবার হয়ে বলে যাই ; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই।

মোহাম্মদ এনামুল হক ফজলে রাব্বী
শিক্ষার্থী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধহরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিধানকার
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে শিক্ষা