একটা পরিবারের মূল ভিত্তি স্তম্ভ যেমন বাবারা ঠিক তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিরদাঁড়া হচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ কিংবা গভর্নিং বডি। এই শিরদাঁড়া যত মজবুত হয় সে প্রতিষ্ঠান ততই মজবুত হয়। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরো একটা অঞ্চলের গণমানুষের আলোকবর্তিকা স্বরূপ। যার ছোঁয়ায় মুহুর্তে পরিবর্তন করে চারপাশ দূর করে অন্ধকার ঝলমলে রূপ নেয় জনপদ ও জাতি। আর এইরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি অযোগ্য লোকেরা রাজত্ব করে তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান সমাজ ও রাষ্ট্র রাষ্ট্রের গণমানুষেরা, কোমলপ্রাণ ছাত্রদের ভবিষ্যতে কতটা নিরাপদ ? আরো চমকপ্রদ বিষয় হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর অবিভাবক সদস্য থেকে শুরু করে সভাপতি ও সম্পাদকের পদগুলো আজ সোনার হরিণের মতো অবস্থা!
অনেক টা জাতীয় নির্বাচনের মতোই উৎসব বিরাজমান। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অশিক্ষিতদের বিনিময়ে হর্তা কর্তা গুলো গুণে থাকেন সমাজের চোখে চিহ্নিত কালো টাকার মানুষ গুলোকে। শিক্ষিত মানুষের কাজ যখন মূর্খরা করে ঠিক তখনই দেয় শিক্ষকদের সাথে বাকবিতন্ডতা, নিজেদের মর্জি মাফিক একঘেঁয়েমিতে চলে প্রতিষ্ঠান জর্জরিত হয় নানান সমস্যায়। কিন্তু এগুলো দেখবে কে? এই সমস্যাগুলো সচরাচর অন্য সমস্যার মতো মানুষের চোখে পড়ে না খোঁজে বের করতে হয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় বাংলাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইতিপূর্বে নেতৃত্ব দিতো সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জ্ঞানী গুণীরা আলোকিত মানুষেরা। দুঃখ জনক হলেও এটা সত্য যে দেশ যখন জিপিএ আর উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে বেড়াচ্ছে ঠিক তখনই অযোগ্যব্যক্তিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নীতিনির্ধারক হয়ে এটা জাতির জন্য বর লজ্জার বিষয়। আমরা সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হয়ে সোচ্চার হওয়ার এখনিই সময়। আপনার সন্তানের উন্নত ভবিষ্যত গঠনে আলোকিত মানুষের বিকল্প নেই। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বিমুখী অশিক্ষিত অমানুষ গুলোকে বের করার জন্য আরেকটা সফল বিপ্লব হোক সমস্ত অবিভাবকের হাত ধরে।