ওয়াসার পাইপ লাইন ফেটে সড়কে বিশাল গর্ত

বহদ্দারহাটে যান চলাচল বিঘ্নিত, ভোগান্তি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

মদুনাঘাট থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত ওয়াসার ১৬০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর কাজে বড় ধরনের লিকেজ ধরা পড়েছে। পাইপ লাইন বসানোর পর লিকেজ শনাক্তকরণের জন্য পানির ‘হাই প্রেসার’ দেয়ার সাথে সাথে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার মোড়ে এই লিকেজ ধরা পড়ে। এসময় সেখানে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়। গতকাল বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মূল রাস্তার এক পাশের বিশাল অংশ দেবে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর ব্যস্ততম প্রধান এই সড়কে বিশাল এই গর্তের করণে এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পাইপ লাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম আজাদীকে জানান, বহদ্দারহাট মোড়ের এই গর্ত দ্রুত মেরামত করা হবে। মাটি খুঁড়ে দেখতে হবে কোথায় লিকেজ হয়েছে। এজন্য দিনের বেলায় কাজ করা যায় না। রাতে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্পের অধীনে নগরীতে ১৬০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধুমাত্র বহদ্দারহাট মোড়ের এই কানেকশনটি বাকি রয়েছে। পাইপ লাইনের কাজ শেষ হওয়ায় এখন আমরা প্রেসার দিয়ে দেখছি কোথায় কোথায় লিকেজ আছে। গতকাল আমরা বহদ্দারহাট মোড় থেকে পাঁচলাইশ থানার মোড় পর্যন্ত টেস্ট করেছি। নিয়ম অনুযায়ী কোথাও লিকেজ আছে কিনা তা আমরা টেস্ট করে দেখি। প্রেসার টেস্ট করতে গিয়েই এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এটা যেহেতু কানেকশনের সংযোগস্থল সে কারণে এখানে মেশিনে হাই প্রেসার দেয়া হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের লিকেজ থাকলে তা বুঝা যায়। এমনিতেই আমরা দুবার প্রেসার দিয়ে টেস্ট করি। এখন ঠিকাদারদের কাছ থেকে যখন কাজ বুঝে নিচ্ছি, তাই ১১ বার প্রেসার টেস্ট করছি। যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
চট্টগ্রাম ওয়াসা ১৮৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে চিটাগাং ওয়াটার সাপ্ল্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীনে মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি শোধনাগার ও মদুনাঘাট থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ বাস্তবায়ন করছে। পাইপ লাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, এখন শুধুমাত্র দুয়েকটি মোড়ে পাইপ লাইনের কানেকশান বাকি রয়েছে। তাই পাইপ লাইনে লিকেজ আছে কিনা তা শনাক্ত করতে টেস্ট করা হচ্ছে। ১৬০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ শেষ হলে কাস্টমস, ইপিজেড, বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকার মানুষ মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি শোধনাগারের অর্ধেক পানি পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৭ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ
পরবর্তী নিবন্ধপুরো নির্বাচন স্থগিত করার সুযোগ নেই