পুরো নির্বাচন স্থগিত করার সুযোগ নেই

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলে গণনা শুরুর দিন থেকেই সরব ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই পেনসিলভ্যানিয়া, মিশিগান এবং জর্জিয়ার মতো ৩ ‘সুইং স্টেট’-এর গণনা নিয়ে আদালতে নালিশ জানিয়েছে রিপাবলিক শিবির। পেনসিলভ্যানিয়ার গণনা নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই রাজ্যে ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। আমেরিকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের মত, শীর্ষ আদালত মামলাগুলি, বিশেষ করে পেনসিলভ্যানিয়ার গণনা নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ শুনতে রাজি হলে বিপাকে পড়ে যেতে পারে ডেমোক্র্যাট শিবির। এমনকি গণনা স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঙ্কারও দিচ্ছেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে কি আমেরিকার শীর্ষ আদালত ট্রাম্পের সেই অভিযোগের মীমাংসা করতে পারে? সে দেশের আইন বিশেষজ্ঞরাই বলছেন কার্যক্ষেত্রে তা হয়তো সম্ভব নয়।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘যেকোনো দেশের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্ন হতে হয়। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মধ্যখানে গ্যাপ হওয়ার সুযোগ নেই। মানে ভোটগ্রহণের মাঝামাঝি সময়ে বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। ট্রাম্প হয়তো সেই বিষয়টিই বলছেন। আমেরিকার যে অঙ্গরাজ্যের (পেনসিলভ্যানিয়া) ভোট নিয়ে ট্রাম্প আইনী লড়াইয়ের কথা ভাবছেন, তিনি যদি তার অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ওই অঙ্গরাজ্যের ফলাফল স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তবে পুরো নির্বাচনকে স্থগিত করার সুযোগ নেই।’
ট্রাম্পের আবেদনে সায় দিয়ে আদালত ফলাফলের অভিমুখ বদলে দিতে পারে এমন ভাবনায় ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে আমেরিকার নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। অথচ ডেমোক্র্যাটদের দিকে পাল্লা ভারী হতেই ট্রাম্প বলে বসেছেন, ‘এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ভুল। আমরা চাই আইন যেন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়। তাই আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। আমরা চাই, ভোট গণনা স্থগিত হোক।’ বক্তব্যে অভিযোগের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তার স্বপক্ষে এখনও পর্যন্ত জোরালো কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেননি ট্রাম্প। অথবা সুপ্রিম কোর্টেই বা কী আবেদন করবেন তাও স্পষ্ট করেননি তিনি। এসব শুনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যালট, ভোট বা গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে চূড়ান্ত ফলাফলের কোনও হেরফের হবে কি না তা নিয়ে তাদের যথেষ্ট সন্দেহ।
ট্রাম্পের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঙ্কারের পরেই, ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নেড ফলি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন টুইটারে। তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত তখনই হস্তক্ষেপ করবে যখন ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে যা এ ক্ষেত্রে নেই’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়াসার পাইপ লাইন ফেটে সড়কে বিশাল গর্ত
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম লটে আনা হবে অক্সফোর্ডের ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন