এবার কারাগারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাবুলের আবেদন

১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

পিবিআই হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলার আবেদনের পর এবার কারাগারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তিনি বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আবেদনটি করেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দিবেন আদালত।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনের কয়েকটি ধারায় পিবিআই প্রধান বনজসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। এর পর আসামিদের প্ররোচনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জেল কোডের তোয়াক্তা না করে ফেনী কারাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালায়। কারাগারে ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রবেশের চিত্র সিসি টিভি ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন বাবুল আক্তার। আবেদনে বলা হয়, জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বলেন, আমার মক্কেলের করা আবেদন বিষয়ে শুনানি হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দিবেন আদালত।
উল্লেখ্য, হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া বাকী অভিযুক্তরা হলেন, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের এসপি নাঈমা সুলতানা, সাবেক পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও এনায়েত কবির। এদের মধ্যে সন্তোষ কুমার চাকমা বর্তমানে নগরীর খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে এবং একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ডিবির বন্দর জোনে এসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএইচএসসি শুরু ৬ নভেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধদেবে গেছে সিইউএফএল জেটির একাংশ