এবারও জৌলুসহীন ইফতার বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারি লকডাউন ঘোষণার কারণে ২০২০ সালের রমজানের পুরো সময় বন্ধ ছিল সব ধরনের দোকানপাট। রমজানে বন্ধ ছিল বেশিরভাগ হোটেল রেস্টুরেন্ট। বন্ধ ছিল ইফতার বাজারও। রমজানের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান থেকে শুরু করে চালু হয় হোটেল রেস্তোরাঁও।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারো লকডাউন দেয় সরকার। চলতি রমজানের শুরুতে কঠোর লকডাউন শুরু হলেও সরকার ঘোষিত ১৩ দফা নির্দেশনার মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করার সুযোগ দেয়া হয়। তাই গতবারের চেয়ে এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়েছে বেশিরভাগ খাবার দোকান। তবে দোকানে বসে খাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। শুধুমাত্র ডেলিভারি ও খুচরা বিক্রির সুযোগে ইফতার কিনতে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতার ভিড়। ইফতার বাজারে স্বাভাবিক সময়ের মতো জৌলুস না থাকলেও নগরের অলিগলি, বড় সড়কগুলোতে স্বল্পপরিসরে ইফতার বেচাকেনা চলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। তবে অনেকস্থানে লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতার সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। নগরীর কাজির দেউরি, নিউ মার্কেট, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালী, চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, লালখান বাজার, দেওয়ান হাট, আগ্রাবাদ এলাকার অনেক হোটেল রেস্তোরাঁয় ইফতার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো ইফতারের পসরা ছিল না, ছিল না হাঁকডাকও। নগরীর কাজির দেউরি এলাকার একটি অভিজাত দোকান থেকে ইফতার সংগ্রহ করছেন আল আমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিসও বন্ধ। প্রতিবছর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ইফতার কিনতাম। গত বছর একেবারে বন্ধ ছিল। এখন কিছু রেস্টুরেন্ট ইফতার বিক্রি করছে। ইফতার নিয়েছি। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো আইটেম বেশি রাখা হয়নি।’
সংক্রমণ এড়াতে নগরীর রাস্তায়, ফুটপাতে ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। তবে গতকাল রমজানের দ্বিতীয় দিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ইফতার বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের মতো না হলেও ইফতার সংগ্রহ করেছে রোজাদাররা। অনেকস্থানে ক্রেতাদের ভীড়ও লক্ষ্য করা গেছে। ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিয়েও কারো মাথাব্যথা ছিল না। এছাড়াও নগরীর অলিগলিতে ছোটখাটো হোটেল ও চায়ের দোকানেও ইফতার বিক্রি হয়েছে। নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় একটি হোটেলে ইফতার বিক্রি হচ্ছে। দোকানের বাইরে সামিয়ানা টাঙিয়ে পলিথিনের আবরণ তৈরি করে ইফতার বিক্রি চলছে। দোকানটির এক কর্মচারী বলেন, ‘এখানে ধুলোবালির কারণে চলাফেরা করা দায়। তারপরও লোকজনের চাহিদার কারণে ইফতার বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে ঘাট-গুদাম শ্রমিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীদের বড় অংশ এই ইফতারের ক্রেতা।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে ১২ কার্গো বার্থে এক ঘণ্টা হ্যান্ডলিং বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধদেশে মৃত্যু ছাড়াল ১০ হাজার