এবং কাঙ্ক্ষিত মানবসমাজ

প্রণয় কান্তি | শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

কবি, শিক্ষক প্রণয় কান্তি ছিলেন কালসচেতন স্বপ্নদ্রষ্টা, উদার এবং বিজ্ঞানমনস্ক একজন চিন্তক। সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ছিল তাঁর নিভৃত লড়াই। দীর্ঘ ১৬ বছর কোলন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ বুদ্ধির মুক্তি ও বেদনা মাধুরী(শুদ্ধস্বর), আকাশ লীনার সাথে কিছুক্ষণ (শুদ্ধস্বর), অতঃপর মেঘের কাছে (দেশ পাবলিকেশন্স), প্রবচনের বই প্রবচন ও প্রদীপন (খড়িমাটি)। গত ১ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর ৬৩ তম জন্মবার্ষিকী। সে-উপলক্ষে তাঁর শেষদিকের রচনা থেকে এই গদ্যটি আবার প্রকাশিত হলো।

যদিও মানুষ সমগ্র অস্তিত্বের অংশ, তার জানা মতে এ-সম্পর্কে জানবার চেষ্টা করে এসেছে এবং এখনও করছে সে নিজেই। কারণ এখনও তার সূক্ষ্ম চিন্তাশীল উদ্ভাবনক্ষম এবং বুদ্ধিদীপ্ত মেধাকে অতিক্রম করার কোনও প্রাণীর সন্ধান মেলেনি। তাই মানুষ সেদিক থেকে এখনও শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। যদিও কখনও মানুষের চেয়ে উচ্চতর প্রাণী আবিষ্কৃত হয় বা আকস্মিকভাবে তার আবির্ভাব ঘটে, তাহলে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের আসনটি আর থাকবে না। তবে আপাতত সে-সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ এবং ভবিষ্যতে আদৌ সেরকম কিছু ঘটবে কি না তাতেও মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই অস্তিত্ব সম্পর্কিত যাবতীয় চিন্তাভাবনা ও রহস্য উদ্‌্‌ঘাটনের চেষ্টা মানুষকেই করতে হবে। অবশ্য এযাবৎ মানুষ তা করেছেও অনেক। তবে তার অধিকাংশই অসামঞ্জস্য ও বিক্ষিপ্ত। এর কারণও রয়েছে বটে। কারণ, অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। স্থান, কাল, পদার্থ ও প্রাণ সবকিছুই এসে পড়ে এ-অবস্থায়। এগুলোর কোনওটিরই এখনও শুরু বা শেষ অথবা প্রকৃত অবস্থা জানা যায়নি। এগুলোকে একসাথে প্রকৃতি বলা হয়ে থাকে। এই প্রকৃতি সম্বন্ধে জানাই মানুষের নিরন্তর সাধনা। এটি মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য। তাই মানুষ এ-প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকেনি এবং এখনও নেই।

তবে প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে প্রকৃতির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তার পেছনের কারণ জানার অন্য কোনও বিকল্প নেই। তাই মানুষ তার চারপাশের বর্তমান দেখে অতীত সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে এবং এখনও নিচ্ছে। এ-প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষ দু’রকম ধারণা নিয়েছে। একটি কল্পনাপ্রসূত এবং বদ্ধমূল, অন্যটি যৌক্তিক চিন্তা-সমৃদ্ধ এবং পরিবর্তনসাপেক্ষ। এর কারণ বুঝতে হলে এই একই প্রক্রিয়ার চিন্তা সমৃদ্ধ ধারায় আমরা প্রকৃতির অংশ মানুষেরও বর্তমান দেখে তার অতীত সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখতে পারি। এতে দেখা যায়, খুব কম মানুষই সূক্ষ্মবোধ-বুদ্ধি-চিন্তাশক্তিসম্পন্ন। অধিকাংশেরই চিন্তা স্থূল ও যুক্তিবোধহীন এবং তারা কিছুটা বিস্ময়াভিভূত। আর অনেকটাই ভয়-তাড়িত। এই ভয় আর বিস্ময় তাদের মূল চালিকাশক্তি। এ-শ্রেণির মানুষের বর্তমান সংখ্যাধিক্য প্রমাণ করে যে, এটি মানুষের আদি তথা প্রাথমিক অবস্থা। মানবজাতির আদি পর্যায়ে মানুষের মস্তিষ্ক প্রায় অবিকশিত ছিল। সে-সময় মানুষ প্রাণীর স্তরেই ছিল বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। বহুকাল ধরে ধীরে-ধীরে তার মস্তিষ্ক বিকাশ প্রক্রিয়া চলে। কিন্তু খুব সীমিত সংখ্যাক কিছু মানুষ ছাড়া অধিকাংশ মানুষেরই কাঙ্ক্ষিত মানের ও মাপের মস্তিষ্ক-বিকাশ এখনও ঘটেনি। তাই প্রাথমিক অবস্থায় বিস্ময়াভিভূত ভয়-তাড়িত মানুষ প্রাকৃতিক শক্তি ও অস্তিত্ব সম্পর্কিত যে-কল্পনাপ্রসূত সমাধান দিয়েছিল আজকের অধিকাংশ মানুষও তা আঁকড়ে ধরে আছে। এদেরকে সাধারণ মানুষ বলা যেতে পারে। এই সাধারণ মানুষ বর্তমান প্রাকৃতিক শক্তির অনেক রহস্য উন্মোচন সত্ত্বেও তাদের প্রাপ্ত পূর্বধারণা পাল্টাতে পারে না। এদের মধ্যে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও রয়েছে। তারা শেখে আধুনিক ধারণা আর বিশ্বাস করে পূর্ব ধারণা। সুতরাং তাদের অবস্থান আরও নিম্ন পর্যায়ে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। আসলে অবস্থানের উন্নতির জন্য বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব-বিমুক্ত হওয়া জরুরি। কিন্তু এই সাধারণ মানুষের পক্ষে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই তারা চিন্তা-চেতনায় সুদীর্ঘ কাল একই অবস্থানে রয়ে গেছে। অন্যদিকে বহুকাল শংকর-প্রজনন ধারা ও বিবর্তন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার ফলে আদি পর্যায় থেকেই গুটিকয়েক ব্যতিক্রমধর্মী মানুষের আবির্ভাব ঘটে যারা বংশগতি ও পরিবেশের দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রকৃতিক সম্পর্কিত নানা প্রশ্নের প্রচলিত সমাধানের বিপক্ষে সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং যৌক্তিক পরিবর্তনসাপেক্ষ ধারণা ব্যক্ত করে এসেছে। মানুষের জীবনযাত্রার সম্মুখ গতি, মস্তিষ্ক ও মানস বিকাশের ধারায় এদের ভূমিকাই মুখ্য। তবে মস্তিষ্ক বিকাশের ফলশ্রুতিতে প্রাকৃতিক শক্তির অনেক দিক করায়ত্ত হওয়ায় জীবনযাত্রার মান বাড়লেও সে-হারে তার মানস বিকাশ ঘটেনি।

তাই বলা চলে, মানুষ বাঁচার উপকরণ তৈরিতে যতটা সফল হয়েছে বাঁচার ক্ষেত্র তৈরিতে ঠিক ততটা সফল হতে পারেনি। ঋদ্ধ মানুষের এ-মুহূর্তে জীবনযাত্রার মান বাড়ানো ও প্রাকৃতিক শক্তির রহস্য উন্মোচন-প্রচেষ্টার পাশাপাশি মানবজাতির মানসিক বিকাশ আরও অনেক বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে। এদিকটিতে মানুষের পিছিয়ে থাকার বেশ লক্ষণীয় একটি কারণ রয়েছে। আদি পর্যায়ের মানুষ জীবনযাত্রার কঠিন অবস্থার কারণে স্বাভাবিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। তাদের এ-অবস্থায় আক্রমণ বা আগ্রাসন সমষ্টি স্বার্থে পরিচালিত হতো। কোনও প্রকার ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ তখনও জন্মাতে পারেনি। কিন্তু জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের দলগত অবস্থা ভেঙে যায়… জন্ম নেয় ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ ও ব্যক্তিঅধিকার তথা ব্যক্তিস্বার্থ। আক্রমণ বা আগ্রাসন এখন দলগত নয়, ব্যক্তিস্বার্থেই করা হয়ে থাকে। অতঃপর আগ্রাসন এবং আধিপত্য ব্যক্তিমানুষের স্থায়ী প্রবৃত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে মানুষে-মানুষে এখন চলছে আগ্রাসন এবং আধিপত্যের প্রতিযোগিতা। ফলে মানুষের ব্যক্তিস্বার্থবোধ বর্তমানে এমন প্রকট হয়েছে যে, তার আগ্রাসনপ্রবৃত্তি পশ্বধম পর্যায়ে নেমে গেছে। পশু তার বেঁচে থাকার নিমিত্ত ছাড়া আক্রমণ প্রবৃত্তি চরিতার্থ করে না। কিন্তু মানুষ প্রকট ব্যক্তিস্বার্থবোদের ফলশ্রুতিতে তার চাহিদা-তৃষ্ণা এতটা বাড়িয়েছে যে প্রায় বিনা প্রয়োজনে অন্যদেকে আক্রমণ করতে সামান্যতমও দ্বিধা বোধ করে না। এটি নিঃসন্দেহে মানুষের অধঃপতন। এ-অবস্থার উন্নতি করতে হলে আমাদের বর্তমান পর্যায়ের হীন ব্যক্তিস্বার্থবোধ বর্জন করে আদি পর্যায়ের সমষ্টিস্বার্থবোধ অর্জন করতে হবে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এটি অর্জন করা প্রশ্নাতীতভাবে খুব কঠিন কাজ। তবুও মানুষেরই অর্জন করতে হবে। মানুষের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব এবং তা তাকে করতে হবে নিজের কারণে, নিজের সুখ ও আনন্দ উপভোগের জন্যই। কারণ ব্যক্তিস্বার্থবোধ কিছু মানুষকে আরাম-আয়েশ-বিলাস ও স্ফূর্তি দিতে সক্ষম হলেও অনাবিল আনন্দ ও মুক্তির সুখানুভূতি প্রদান করতে পারে না।
ফলে ‘অনেক কিছুর মাঝে থেকেও কিছুই নেই’-এর এক পীড়াদায়ক অনুভূতি তাদের হতাশাগ্রস্ত করে তোলে এবং তারা এতে অনেক সময় আত্মঘাতী বা বিকৃত হয়ে শোচনীয় জীবনাবসানের দিকে ধাবিত হয়। যদিও আধিপত্যের স্বাদ পেলে মানুষ নেশাগ্রস্ত হয় এবং তার পক্ষে তা ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ে, তবুও একদিন তার মোহমুক্তি ঘটবে। তা অনেক সময়সাপেক্ষ। তাই বর্তমান মানবসমাজের দ্রুত উন্নয়নের জন্য জ্ঞানী ও ত্যাগী ব্যক্তিকে প্রতিটি ব্যক্তিমানুষের মানস গঠনে এখনই সুপরিকল্পিতভাবে কাজ আরম্ভ করতে হবে। আর এ-পরিকল্পনার অপরিহার্য এবং হিসেবে জিন প্রযুক্তিরও যথাযথ উন্নয়ন ও প্রয়োগ সাধন করতে হবে। এভাবেই বর্তমান মানবসমাজের মানোন্নয়ন সম্ভব, অন্যথায় নয়। কারণ মন বা মানস সমৃদ্ধ না হলে যেমন সত্যিকারের মানুষ হওয়া যায় না, তেমনি সত্যিকারের মানুষ ছাড়া সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভবপর নয়।

মানুষ গড়া কঠিন হলেও এটি দুঃসাধ্য কাজ নয় মোটেই। শৈশব থেকেই এ-প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত। তাহলেই এটি অনেকটা সহজতর হবে। এ-পরিকল্পনার অংশ হিশেবে শিশুদের বিরুদ্ধ পরিবেশের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য বিজ্ঞানমনস্ক মানসম্মত শিক্ষক পরিচালিত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ তথা মানবতাবোধসম্পন্ন শিক্ষাক্রমেও আওতায় আনতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকের চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে চিন্তাশীল ব্যক্তি বা জাতি তৈরি হতে পারে না। আর চিন্তার বিকাশ মানেই ভাগ্য-বিকাশ। কারা এ-গুরুদায়িত্ব নেবে এ-প্রশ্ন-যদিও স্বাভাবিক, কখনই এ-দাযিত্ব নেবার মানুষ মিলবে না এটিও সত্যি নয়। কারণ মানব সমাজের মধ্য থেকে আদি পর্যায়ে সৃষ্ট ভালো-মন্দবোধ এখনও তিরোহিত হয়নি, বরং তা আরও স্পষ্টতর হয়েছে। ক্রান্তিকালে এ-মানুষের আবির্ভাব ঘটবেই। কারণ সমাজ বির্বতনের ধারায় যুগে-যুগে এটিই ঘটে আসছে।
কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তিত সমাজ গঠন হলেই কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যায় না। কারণ সমাজ গঠনের মূলে রয়েছে অবিরাম সজাগ মানস গঠন প্রক্রিয়া। এ-প্রক্রিয়ায় কোনও বিরতি বা ছেদ রাখা যাবে না, এটি একটি বহমান প্রক্রিয়া। এতে বিরতি বা ছেদ পড়লে মানুষের মানস গঠন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং তার ফলে সমাজ বিকলাঙ্গ বা বিকৃত হবার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাবে।
বদ্ধচিন্তা বা প্রযুক্তির অপব্যবহার তথা কু-প্রযুক্তিও এ-ক্ষান্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। তাই এ-মুহূর্তে ভবিষ্যৎ সমাজ গঠনকল্পে সুশিক্ষিত ও সচেতন প্রতিটি মানুষের যার যার অবস্থান থেকে ব্যক্তিমানস গঠনের কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ক্রান্তিকাল আসা পর্যন্ত এটিই একমাত্র করণীয়। মনে রাখতে হবে যুক্তিই আমাদের সকল কাজের সঙ্গী, আমাদের দর্শন। এটি আমাদের সেই দর্শন ‘যার সাহায্যে আমরা নিজেকে পাল্টাতে পাল্টাতে বুঝি, আর বুঝতে বুঝতে পাল্টাই’। আমাদের কোনওভাবেই ভুললে চলবে না যে, সমাজের অন্ধত্বের অমানিশার ঘোর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়, বরং বাস্তবিকই কঠিন ব্যাপার। রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাই একবার তাঁর একটি লেখায় বলেছিলেন : ‘মানুষ জেলে যাওয়া বা ফাঁসির মঞ্চে যাওয়াটাকে বিরাট হিম্মত বলে মনে করে। কিন্তু সমাজের গোঁড়ামি ভেঙে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা, জেলে যাওয়া বা ফাঁসির মঞ্চে ওঠার চেয়ে ঢের বেশি সাহসের কাজ।’
অনুপমা অপরাজিতা সম্পাদিত প্রণয় কান্তি স্মরণগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত

মানুষ বাঁচার উপকরণ তৈরিতে যতটা সফল হয়েছে বাঁচার ক্ষেত্র তৈরিতে ঠিক ততটা সফল হতে পারেনি। ঋদ্ধ মানুষের এ-মুহূর্তে জীবনযাত্রার মান বাড়ানো ও প্রাকৃতিক শক্তির রহস্য উন্মোচন-প্রচেষ্টার পাশাপাশি মানবজাতির মানসিক বিকাশ আরও অনেক বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপার্বতী বাউল এক সাধিকার শেকড়-সন্ধান
পরবর্তী নিবন্ধআহত নৌ পুলিশ সদস্যকে মৎস্য অধিদপ্তরের আর্থিক অনুদান