করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৫ মের ঘোষিত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা আবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সে সঙ্গে নির্বাচন স্থগিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালকের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। খবর বিডিনিউজের। এক রিট আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ৭ এপ্রিল জারি করা সংশ্লিষ্ট স্মারকের একটি ধারা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও সানজিদ সিদ্দিকী, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সানজিদ বলেন, ১৯৬১ সালের বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই নির্বাচন ‘মনিটর করার’ ক্ষমতা বণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালকের। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এফবিসিসিআই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ১৪ এপ্রিল তার কাছে আবেদন করা হয়। কারণ এ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন চেম্বার থেকে ২ হাজার ৪০০ ভোটার ঢাকায় ভোট দিতে আসবেন। এতে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। ওই দরখাস্তের কোনো জবাব আমরা পাইনি। এ কারণে ওই পরিচালকের নিস্ক্রিয়তা ও নির্বাচনের অনুষ্ঠান সংক্রান্ত স্মারকের ৩ নং ধারা চ্যালেঞ্জ করে এফবিসিসিআই সদস্য মো. আমির উদ্দিন বিপুল সোমবার রিট আবেদনটি করেন। এফবিসিসিআই’র ২০২১-২০২৩ মেয়াদের পরিচালনা পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটের জন্য ৫ মে দিন রেখে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। এরপর ৭ এপ্রিল বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখার পরিচালক সোলেমান খানের স্বাক্ষরে জারি করা স্মারকের ৩ নং শর্তে বলা হয়, যেসকল বাণিজ্য সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন এবং নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত তফসিল মোতাবেক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে, সে সকল বাণিজ্য সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন সম্পন্ন করতে কোনো বাধা নেই। এর বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী সানজিদ বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে সরকার বিধি-নিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছে।