একুশের চেতনা জাগরুক থাকুক

তাওহীদুল ইসলাম নূরী | বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা চলে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ইংরেজি লিখা কিছু সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করতে কিংবা সেখানকার ইংরেজি লিখা কালি দিয়ে মুছে দিতে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেদিন যে উদ্দেশ্যে ভাষা সৈনিকরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে কালো রাজপথকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রঞ্জিত করেছিল তা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর অতিক্রম হলেও পরিপূর্ণরূপে আজও বাস্তবায়িত হয় নি। সরকারি, বেসরকারি নানানক্ষেত্রে এখনও ইংরেজিসহ অনান্য ভাষার যেখানে প্রাধান্যতা, সেখানে বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা লক্ষ্যণীয়। বাংলা ভাষার জন্য ভাষা শহীদরা নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরের ২/৩ দিন আগেপরে ছাড়া বছরের অনান্য সময় দেশের ৯০ শতাংশের বেশি শহীদ মিনার অবহেলিত থাকে। পবিত্র এই স্থানটিতে জুতা পায়ে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, খেলাধুলা, ফুটপাত বসা এবং জুটিদের মিলনস্থল হতে দেখা যায় প্রায়ই।

ভুলে গেলে চলবে না যে, যে কয়টা কারণে বিশ্বের বুকে আমাদের পরিচিতি, তারমধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি অন্যতম। তাই, এই যে আমাদের আজকের বাংলা ভাষা, কোনভাবেই যেন এর বিকৃতি কিংবা বিলোপসাধন না হয় এজন্য সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভাষা আন্দোলনের এই নিথুয়া পাথার এমনিতে পার হয় নি। এই একটি ভাষায় মিশ্রিত আছে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, অহিউল্লাহসহ অসংখ্য ভাষা শহীদের তাজা প্রাণ, অনেক ভাষা সৈনিকের পঙ্গুত্ব। তাইতো আজ ভাষার মাসে জোর দাবি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একুশের চেতনা জাগরুক থাকুক প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবইমেলা এবং প্রাসঙ্গিক কথা
পরবর্তী নিবন্ধঊনসত্তরে মিছিলরত বেঁচে থাকা শিশুটি মর্যাদা পাক