একটি ফেরি, অনেক দুর্ভোগ

কালুরঘাটের দু পারে আটকে ছিল শত শত যানবাহন তিনটি ফেরির মধ্যে একটি নষ্ট ছিল আগে থেকেই, গতকাল নষ্ট হলো আরেকটি

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

অসুস্থ বাবাকে নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে আছে বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুরের বাসিন্দা মো. সাইমন (২২)। তার বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ফেরিঘাটে আটকা পড়েছেন তিনি। জানতেন না যে সকাল থেকে একটি ফেরি চলাচল করছে। পরে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে তার বাবাকে নিয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটের ফেরিঘাটে ফেরি নষ্ট হওয়ায় সাইমনের মতো দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

তিনটি ফেরির মধ্যে একটি ফেরি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে কিছুদিন ধরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আরো একটি ফেরি নষ্ট হয়ে যায়। একটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে ফেরির ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এতে দুই পারে শত শত যানবাহন আটকে ছিল দীর্ঘক্ষণ। হাজারো যাত্রী পড়েছে ভোগান্তিতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে দশটা থেকে ফেরি নষ্ট হওয়ায় একটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে। যানবাহনের দীর্ঘ সারি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এতে বোয়ালখালীর জনসাধারণসহ অসুস্থ নারীপুরুষ দুর্ভোগে পড়ে যায়। সিএনজিচালিক অটোটেম্পুতে থাকা সবজি ব্যবসায়ী আবদুল খালেক বলেন, সবজি ভর্তি গাড়ি নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি ফেরি ঘাটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। রমজান মাসে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ হচ্ছে। আমি গিয়ে সবজিগুলো বিক্রি করতে পারবো কিনা জানি না।

আসমা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা বলেন, ঘণ্টাখানিক ধরে অপেক্ষা করছি পশ্চিম পাড়ে যাওয়ার জন্য, কিন্তু একটি ফেরি পারাপার হওয়ার কারণে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগছে। আমি অসুস্থ মানুষ। রোজা রেখেছি। যে কোন সময় মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারি। আবদুল মোনাফ বলেন, মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতারি নিয়ে যাচ্ছি। এখন ফেরির যা অবস্থা ইফতারি নিয়ে যাওয়া হবে কিনা সন্দেহ।

এদিকে নৌকা পারাপারে যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে নৌকায় উঠতে দেখা যায়। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌকা পার হতেও দেখা গেছে। যাত্রীরা বলেছেন, অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার কারণে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তবে নিরুপায় হয়ে তারা নৌকায় উঠছেন। কারণ একটি ফেরি যাওয়া আসা করতে অনেক সময় চলে যায়। এরই মধ্যে কেউ কেউ আবার বিকল্প পথ ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে যান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চন্দ্রঘোনা থেকে আপাতত একটি ফেরি নিয়ে আসবো কালুরঘাটে ফেরি পারাপারের জন্য। নষ্ট ফেরিগুলো ঠিক করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন নোট পাওয়া যাবে যেসব ব্যাংকে