উপজেলা পরিষদ নিয়ে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

| সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ at ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার এমন বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পৃথক তিনটি রিটে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে গত ২৯ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের দেয়া রায়ের ২৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর বাসসের।

হাইকোর্টের এ রায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। আইনের ৩৩ () ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। () পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন। আইনের এই বিধানসহ কিছু বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনঅররশিদ ও এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার ২০২০ সালে ৭ ডিসেম্বর এ রিট করেন। ওই বছরই আগস্টে উপজেলা পরিষদ আইনের ২৯ ও ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট করেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন। আর আইনের ৩৩ ধারা সহ আরও কিছু বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ১৫ জুন আরেকটি রিট করেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিন উপজেলা চোরম্যান। এসব রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। সব রুলের শুনানি শেষে ২৯ মার্চ বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে পুলিশকে ঢিল