উপকৃত হবো আমরা উপকৃত হবে দেশ

রুবি নন্দী | মঙ্গলবার , ২০ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

আমাদের সময়ে কৈশোরে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল যার মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা ছিল না। বাবা-মায়ের কড়া দৃষ্টি এড়িয়ে পড়ার বইয়ের নীচে রেখে গল্পের বই পড়ার আনন্দই ছিল অন্যরকম। বড়দের সংগ্রহে থাকতো অনেক ভালো লেখকের বই। তাই হয়তো সেই বয়সে সুযোগ হয়েছিল ভালো কিছু বই পড়ার। যার ইতিবাচক দিক হলো, অবসরে কিশোরী মন গল্পের চরিত্রদের নিয়েই ভাবনায় বিভোর থাকতো। চরিত্রের ভালো দিক গুলো মনে এতোটা প্রভাব ফেলতো যে খারাপ কিছু ভাববার সুযোগ ছিল না। যদিও অনেক কথার অর্থ সেই সময়ে বুঝে উঠতে পারতাম না। তবুও বই পড়ার মধ্যেই সুখ খুঁজে পেতাম। অথচ এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে বই পড়ার তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। পড়ার বইয়ের বাইরে অন্য বইপড়া ওদের কাছে অনেকটা সময় নষ্ট মনে হয়।কারণ পড়া শেষ করে একটু গেমস খেলতে পারলেই হয়। বর্তমান সময়ের কিশোর কিশোরীরা ভীষণ অস্থির ও চঞ্চল। তাইতো সামান্য কারণেই কিশোররা নিজেদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে সেটা বড় আকার ধারণ করে। যার কারণে ভাল মন্দ বুঝে উঠার আগেই ওরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে। ধর্মীয় অনুভূতি, বিশ্বাস যেমন খারাপ কাজ করার সময় মানুষের বিবেককে একবার প্রশ্নের সম্মুখীন করে, ঠিক তেমনই বই পড়ার অভ্যাস আমাদেরকে খারাপ ভাবনা থেকে দূরে রেখে মনকে শান্ত রাখে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের বিভিন্ন সময় কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে বিভিন্ন বই উপহার দিয়ে ওদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।এতে উপকৃত হবো আমরা। উপকৃত হবে দেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমূল্য বৃদ্ধির লাগাম
পরবর্তী নিবন্ধআবাসিকে গ্যাস সংযোগের প্রয়োজনীয়তা