উদ্ধার করা জমিতে শিশুপার্ক

কর্ণফুলীতে ঘুচছে বিনোদন কেন্দ্রের আক্ষেপ

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে প্রভাবশালীর দখলে থাকা জায়গা উদ্ধার করে পাঁচ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠছে বিনোদন কেন্দ্র ও শিশু পার্ক।

 

 

এতে দুই লাখ তিন হাজার মানুষের বসতি কর্ণফুলী উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকার আক্ষেপ ঘুচছে কিছুটা হলেও। বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠার খবরে উপজেলার শিশুকিশোর ও তাদের অভিভাবকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বিনোদন কেন্দ্রটি গড়ে তুলতে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই টাকা থেকে বেশ কিছু রাইড এনে স্থাপনের প্রাথমিক কাজও শুরু করা হয়েছে।

বড়উঠান ইউপির চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের ১% বরাদ্দ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দিয়ে কর্ণফুলীতে বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুপার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে শিশু পার্কের জন্য বিভিন্ন রাইডও নিয়ে আসা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি

মাইলফলক। প্রশাসনের উদ্ধারকৃত জমিতে বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে বিনোদন কেন্দ্র ও শিশু পার্ক গড়ে তুলা হচ্ছে। কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো বিনোদন কেন্দ্র বা শিশুদের জন্য পার্ক নেই। এ বিনোদন কেন্দ্রটি বড়উঠান ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আনোয়ারা উপজেলার মানুষের জন্যও বাড়তি আনন্দ জোগাবে বলে মনে করছি।

চলতি সপ্তাহে শিশু পার্কের কার্যক্রম পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশিদ ও বড়উঠানের চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বড়উঠান ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, মহিলা ইউপি সদস্য জোবাইদা আকতার মিতুসহ স্থানীয়

নেতাকর্মীরা। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এঙিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী এ জমি উদ্ধার করেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে জায়গাটি দখলে ছিল।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলীতে একটি পরিকল্পিত ও নান্দনিক শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ শুরু করা হয়েছে। এর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পর অর্থায়নে পর্যায়ক্রমে এ বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হবে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, অবৈধ দখলমুক্ত করার পর ৬.১০ একর জায়গার মধ্যে কিছু জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্প, খেলার মাঠ ও উপজেলা প্রশাসনের অধীনে কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ একর জায়গায় শিশু পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলা হচ্ছে। এতে উপজেলার

শিশু কিশোররা পড়ালেখার পাশাপাশি বিনোদনের একটি সুন্দর পরিবেশও পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পটিয়া থেকে পৃথক করে পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয় কর্ণফুলী। এর পর ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বতন্ত্র উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে নিখোঁজ প্রবাসীর লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধকোমর তাঁতবস্ত্রের কদর বাড়ছে