উখিয়ায় ক্যাম্প পরিদর্শনে ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তা

নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের

উখিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা চেয়েছে রোহিঙ্গারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতারা তাদের এ কথা জানান। গতকাল সকাল ১১টায় ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট- আইপিএএম এর সামরিক প্রতিনিধিরা উখিয়ার কুতুপালং ৪ এক্সটেনশন ক্যাম্পে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সেনাপ্রধানও ছিলেন বলে জানা গেছে। সেখানে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক অবস্থাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। সভায় জাতিসংঘের ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ বা আইএসসিজির সমন্বয়ে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সেবাদানকারী জাতিসংঘের ৯টি সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। আলোচনা সভা শেষে প্রতিনিধিদল ২১ জন নারী ও পুরুষ রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় রোহিঙ্গা নেতারা তৃতীয় দেশে নয়, বরং মর্যাদা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ থিমে ২৪ দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ‘ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট’ সেমিনার শেষে প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার ইনানী সাগর পাড়ের এক অভিজাত হোটেলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, ৪৬তম আইপিএএম এর তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি। সোমবার ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট হলো- অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে, ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোতোয়ালী থানায় পরিবর্তনের ছোঁয়া
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে : পিটার হাস