ঈদের আগে বেড়েছে সেমাই চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম

বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ভোক্তাদের

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ঈদের জামা কাপড় কেনার পর বাড়ির কর্তাদের ছুটতে হয় সেমাই চিনির বাজারে। বরাবরের মতোই ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে বেড়ে গেছে সেমাইচিনি এবং গুঁড়া দুধের দাম। অতিথি আপ্যায়নের এসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়ায় ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভোক্তাদের দাবি, যথেষ্ট পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হওয়ার পরেও দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়। এ সময় তারা বলেন প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখা।

গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি এবং ২ নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের মুদি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি বাংলা লাল সেমাই সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, বর্তমানে সেটি ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত লাচ্ছা সেমাই গত বছরের তুলনায় কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকায়। অন্যদিকে কিসমিস প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এছাড়া চিনির দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকায়। অপরদিকে মার্কস ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ব্রান্ডের ঘি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১২শ টাকায়। সাদা মটরের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। চীনা বাদাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় এবং বড় সাইজের প্রতিটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া ১২ পিসের প্রতিটি ম্যাগী নুডুলসের বক্স বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। পেঁয়াজের দর কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এছাড়া মরিচের গুড়োর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা, মসলার গুড়ো ৮০০ টাকা এবং হলুদের গুড়ো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে চড়া সয়াবিন তেলের বাজার। বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ২ লিটার ৩২০ টাকা, ৩ লিটার ৪৮০ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ঈদের কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়তি। আমরা পাইকারী বাজার থেকে অল্প অল্প করে বিক্রি করি। পাইকারী বাজারে দাম কমলেও আমরাও কমিয়ে দিই।

বেসরকারি চাকরিজীবী ইমরান হোসেন বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে বাজার চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ আমরা পেপার পত্রিকায় পড়ে আসছি, এ বছর পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। পর্যাপ্ত যদি ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়, তবে দাম বাড়ার তো কোনো কারণ দেখছি না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ঠিকই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে। আমরা তাই প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো, যাতে বাজার মনিটরিং করে সেমাই চিনির বাজার যাতে স্থিতিশীল রাখা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনা ফেরার দেশে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত
পরবর্তী নিবন্ধভালোবাসার প্যারাবনে চিংড়ি ঘের