ইভ্যালির রাসেল দম্পতিসহ ৮ জনের নামে অভিযোগপত্র

| সোমবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আর সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় চার আসামিকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই এমদাদুল কবির গতকাল রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের কমর্চারী দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইভ্যালির ব্যবস্থাপক জাহেদুল ইসলাম, হিসাব বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা, হিসাব ব্যবস্থাপক জুবায়ের আল মাহমুদ, আকিবুর রহমান তূর্য, প্রধান নির্বাহীর ব্যক্তিগত সচিব রেজওয়ান ও মোটর সাইকেল বিভাগের কর্মকর্তা সাকিব রহমান। ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, জ্যেষ্ঠ হিসাব ব্যবস্থাপক তানভীর আলম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (বাণিজ্য) জাওয়াদুল হক চৌধুরী ও হিসাব তহবিল শাখার কর্মী সোহেলকে অব্যাহতি দিতে তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করেছেন।
২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে মেট্রো কভারেজ, স্মার্ট ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফ্রিডম এঙপোর্ট ইম্পোর্ট বিডি ও ফিউচার আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ১২ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলার এজাহারে আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাদী ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্রাহকদের মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার পণ্য সরবরাহ করেন। পণ্য সরবরাহের বিপরীতে ইভ্যালি তাদের একটি চেক দিলেও সেই অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা ছিল না। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি ইভ্যালির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় জিডি করা হলেও অর্থ পাননি বাদী।
মামলার বাদী ইভ্যালির অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে আসামিরা তালবাহানার পাশাপাশি অশোভন আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি। তাদের চমকদার অফারের প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায় বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়। কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তাদের অনেকে পণ্য বুঝে পাননি; ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকাও ফেরত দেয়নি।
এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কিছু ই কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভে নামে গ্রাহকরা। তখন বেশ কিছু মামলাও হয়। এরকমই এক মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আট মাস কারাবাসের পর সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে গত ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তবে তার স্বামী ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেল এখনও কারাগারেই আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫টি বাসকে জরিমানা তালিকা প্রদর্শন না করা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
পরবর্তী নিবন্ধবড়পোলের সেই অবৈধ কার মাইক্রো স্ট্যান্ডে অভিযান চারটি গাড়ি জব্দ