ইনজুরি মুক্তির লড়াই শুরু লিটনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আর কদিন পর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আসর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। অথচ সেই গুরুত্বপূর্ণ আসরে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার লিটন দাশকে। ইনজুরিতে পড়ে তিনি মাঠের বাইরে। গত ৫ আগস্ট জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম ওয়ানডেতে পায়ের পেশিতে টান লাগে লিটনের। হারারেতে সেদিন তিনি মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। আর মাঠে ফেরা হয়নি । পরে বিসিবি জানায়, গ্রেড টু মাসল স্ট্রেইন তাকে ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে। কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পর গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। প্রথম দিনে জিমে তার কসরতের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিটন লিখেছেন, এই শুরু হলো আমার অন্য ভ্রমণ। প্রথম দিনে বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় লিটনের পুনবার্সন প্রক্রিয়া। লিটনের পুরর্বাসনের দায়িত্ব পালন করা বিসিবির এই ফিজিও জানান লিটনের ইনজুরির অবস্থা বুঝে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে ফেরার পর আমরা লিটনের আরেক দফা এমআরআই করিয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে গ্রেড টু টিয়ারই এটা। প্রাথমিকভাবে ১০ দিন ছিল ওর বিশ্রাম। সেই ধাপ শেষে গতকাল থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হলো। এখন ধাপে ধাপে রিহ্যাবের বিভিন্ন পর্যায় আসবে। কবে থেকে রানিং বা ব্যাটিং শুরু করতে পারবে, এখনই নির্দিষ্টভাবে কিছু বলার উপায় নেই। মাত্র শুরু হলো। দুই সপ্তাহ পর শরীর কীভাবে সাড়া দেয়, তিন সপ্তাহ পর কেমন অবস্থা থাকে, এসব দেখে আস্তে আস্তে বোঝা যাবে। যে প্রক্রিয়াটা শুরু হলো এটা তিন-চারদিন চলবে। তার পর উন্নতি হলেই পরের ধাপে চলে যাবে। এভাবে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। লিটন ইনজুরিতে পড়ার দিন জাতীয় দলের ফিজিও বলেছিলেন, তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে তার এই পেশিতে আঘাত লেগেছিল সাত বছর আগেও। তাই বেশ সাবধানতায় পুনবার্সন প্রক্রিয়া চালানো হবে। বায়েজিদুল ইসলামের ধারণা, সময়টা আরেকটু বেশি লাগবে। সাধারণত এই ধরনের ইনজুরি সারতে আঘাত পাওয়ার দিন থেকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে । তবে ওর এই মাসলেই ২০১৫ সালে আরেকবার ইনজুরি হয়েছিল । যদিও সেবার আঘত অন্যদিকে ছিল। তবে একই মাসলে। এজন্য ধারণা করছি, ওর ক্ষেত্রে পুরো ছয় সপ্তাহই লাগবে। ছয় সপ্তাহ লাগলেও সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ ফিট হয়ে উঠতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে ওঠার সময় পাবেন লিটন।
ইনজুরিতে পড়ার আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন লিটন। গত দেড় বছরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান তিনি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ সেঞ্চুরিতে ২৪৫৪ রান করেছেন লিটন। বাংলাদেশের আর কারও নেই ২ হাজার রান। কারও নেই ৩টির বেশি সেঞ্চুরি। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে ৪৯.০৫ গড়ে ৮৮৩ রান করে রান স্কোরারদের তালিকায় তিনি আছেন পাঁচে।
আর বাংলাদেশের শীর্ষে। ইনজুরির কারণে আপাতত শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের দুই ওয়ানডে ও এশিয়া কাপ মিস করতে হচ্ছে তাকে। নভেম্বরের আগে এই সময়ে বাংলাদেশের আর কোনো টেস্ট বা ওয়ানডে নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন তামিম ইকবাল
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৮.০২ কোটি টাকা