ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে : খসরু

কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে কাল বিএনপির কর্মসূচি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল রোববার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ‘শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি’ পালন করবে বিএনপি। এ কর্মসূচি সফল করতে দলের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাইলফলক উন্মোচন করার জন্য ২৭ মার্চ সভা করছি। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা অনেক আলাপ আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিকালে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করার জন্য এই কর্মসূচি। যেহেতু মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, সেহেতু এই মাসে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে। একটি দল যখন আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে শহীদ জিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে, তিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে কাজটি করেছিলেন সেটি জাতিকে জানাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা লেখা হয়, তাহলে তারা জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশটাকে মুক্ত করার জন্য সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সবাই সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নাই। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হয় না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার সন্মুখ সমরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়ার শাসন আমল ছিল উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার। বক্তব্য রাখেন নগর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খাঁন, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাইলেই মিলছে আইনি সহায়তা
পরবর্তী নিবন্ধপোশাক শিল্প খাতে বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন নাসির উদ্দিন