ইউপি সচিবের পাশাপাশি কলেজ শিক্ষকও তিনি

চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন, দুদকের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ের কানু কুমার নাথ একজন ইউপি সচিব। পাশাপাশি তিনি একজন কলেজ শিক্ষকও। তথ্য গোপন করে সরকারি দুটি পদে একই সময় দীর্ঘদিন ধরে তিনি চাকরি করে আসছেন। চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে সরকারি কোষাগার (কলেজ থেকে গৃহীত) থেকে অতিরিক্ত ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এ তথ্য। এ ঘটনায় কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়ে মামলা করেছেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম। দুদক চট্টগ্রাম ২ এর উপপরিচালক আতিকুল আলম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কানু কুমার নাথ হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে কর্মরত থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে
তথ্য গোপন করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অপরাধজনক অসদাচরণের মাধ্যমে একই সময় ফটিকছড়ির হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কানু কুমার নাথ মীরসরাই উপজেলার কমলদহের খাজুরিয়া এলাকার বিনোদ বিহারী নাথের ছেলে। তিনি ১৯৯১ সালে হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সচিব হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি পূর্বের চাকরির তথ্য গোপন করে ফটিকছড়ির হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে এমপিওভুক্ত প্রভাষক হওয়ার পর তিনি ২০০২ সালে উক্ত কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
দুদক সূত্র জানায়, একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়ে সরেজমিনে অধিকতর তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ কমিটি ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করে। যেখানে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি তহবিল থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত টিমের সদস্যরা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১১ এর বিধি ৩৩ এর উপবিধি ১(গ) ও ২(চ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দুদক সূত্র আরো জানায়, একই সাথে দুটি পদে চাকরির এ বিষয়ে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার শাখার আদেশ মূলে তার বর্তমান বেতন স্কেল নিম্ন স্কেলে অবনমিত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবির মূল ফটকে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের দুই ঘণ্টা অবস্থান
পরবর্তী নিবন্ধশাহাদাতসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন