অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করতে চান। আয়ের পাশাপাশি চান জনপ্রিয়তাও। কিন্তু কোন পথে এই আয় আসবে বা কেমন ভাবেই বা আসবে, তা অনেকেরই অজানা। কেবল আকর্ষণীয় ভিডিও দিলেই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করবেন তা কিন্তু নয়। এরজন্যও প্রয়োজন নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতির।
১.টেকনোলজি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার পিছনে নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্যেই থাকা প্রয়োজন। শখ হল আর ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ফেললাম তেমনটা যেন না হয়।
২. ‘কনটেন্ট ইজ দ্য কিং’ একথা সর্বজন বিদিত। ফলে ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট বা বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিষয় সর্বদা আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন বা শ্রুতিমধুর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. যেকোনও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের প্রাথমিক শর্ত হল রেগুলারিটি। অর্থাৎ, চ্যানেলের অ্যাডমিনকে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট রাখতে হবে। প্রয়োজনে চ্যানেল খোলার আগে থেকে দুই বা তিন সপ্তাহের কনটেন্ট আস্তিনে মজুত করে রাখতে হবে।
৪. ভিডিওর কোয়ালিটি অবশ্যই ঝকঝকে হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া শব্দও পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন।
৫.উক্ত সমস্ত শর্ত ঠিকঠিক ভাবে পূরণ করলে, সহজেই হাজার খানেক সাবস্ক্রাইবার হতে পারে যেকোনও ইউটিউব চ্যানেলের। এরপর আসে ওয়াচ আওয়ার বাড়ানোর প্রসঙ্গ। টেক বিশারদদের মতে, প্রথম ক্ষেত্রে টার্গেট নেওয়া উচিত যত দ্রুত সম্ভব ওয়াচ আওয়ারের মাত্রা চার হাজার অতিক্রম করার।
৬. এরপরেই ইউটিউবের চ্যানেলের সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্সকে যুক্ত করা যায়। তবে এখানেই কাজ শেষ হয় না। এরপর যত আকর্ষণীয় ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করা হবে ততই চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং চ্যানেলে আসতে থাকবে গুগল অ্যাড।
৭. তবে, কনটেন্ট বা বিষয় আকর্ষণীয় না হলেও রোজগার করা যায় ইউটিউব থেকে। এক্ষেত্রে চ্যানেলের ভিডিওটিতে স্পনসরড ভিডিও হিসাবে তৈরি করা যায়। উদাহরণ, যদি কোনও খাবার বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল সেরা রেস্তরাঁগুলোকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রস্তুত করে এবং সেই ভিডিও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেক্ষেত্রে রেস্তরাঁগুলোও জনপ্রিয়তা পাবে। তখন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক রেস্তরাঁগুলো থেকে নির্দিষ্ট অর্থ পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে পূর্বেই চুক্তি করে নেওয়া প্রয়োজন।