আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

২২১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৪ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই বুঝিয়ে দিয়েছিল কেমন হতে পারে এই সিরিজে আয়ারল্যান্ডের পরিণতি। তবে তাদের ভাগ্য ভাল, দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। না হয় হোয়াইট ওয়াশ হতে হতো। প্রথম দুই ম্যাচের চেয়ে শেষ ম্যাচে যেন আরো ভয়ংকর টিম টাইগার।

 

প্রথমবারের মত তিন ফরমেটের ক্রিকেটে কোন প্রতিপক্ষকে দশ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ৪১.২ ওভার। আর এই আইরিশ বধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। শুধু তাই নয় এই ম্যাচে আরো একটি রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর তা হচ্ছে প্রথমবার

প্রতিপেক্ষের দশটি উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের পেসাররা। স্পিন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্পিনাররা এই ম্যাচে উইকেটের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। অনেক রেকর্ড গড়া এই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজও জিতেছে ২০ ব্যবধানে। বল হাতে যে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন

আহমেদ ও ইবাদত হোসেন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৭ বছরের পথচলায় ৬৯২ ম্যাচে এই প্রথমবার প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটই পেস বোলিং দিয়ে তুলে নিল বাংলাদেশ।

আগের দুই ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে নামা আইরিশরা এবার টস জিতে আগে নিলো ব্যাটিং। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের পেসারদের স্কিলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আইরিশ ব্যাটিং। মাত্র ২৮.১ ওভারেই অলআউট হয় ১০১ রানে। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সবচেয়ে তরুণ

যিনি, সেই হাসান মাহমুদই ছিলেন উজ্জ্বলতম। ইনিংসের প্রথম বল থেকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি ৩২ রানে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তার সেরা বোলিং এটি। ১০১ রানে শেষ হয়ে যায় আইরিশ ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো দলের যা তৃতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। তাসকিন আহমেদের শিকার ৩ উইকেট। ইবাদত নিয়েছেন ২টি।

সহজ রান তাড়া করতে নেমে তামিম ও লিটন যেন স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটাচ্ছিলেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চার মেরে শুরু করেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারে লিটন মারেন আরো দুটি চার। তৃতীয় ওভারে তামিম আরো তিনটি। এরপর অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটতে থাকেন দুজন। এক পর্যায়ে লড়াইটা দাঁড়ায় কে আগে হাফ

সেঞ্চুরি করবেন। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ককে ছাড়িয়ে সেখানে জিতে যান লিটনই। যথারীতি চোখজুড়ানো সব শটের সমাহার সাজিয়ে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি ৩৮ বলে। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ২২১ বল বাকি রেখেই ম্যাচ শেষ করে বাংলাদেশ। বল বাকি রাখার

হিসেবে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর কেবল একটি। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে গুটিয়ে জয় এসেছিল ২২৯ বল বাকি রেখে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন বল হাতে আগুন ঝরানো হাসান মাহমুদ। আর সিরিজ সেরা মুশফিকুর রহিম। দুই দল এখন মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজে। চট্টগ্রামে সেই লড়াই শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশরীরে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার স্বর্ণ
পরবর্তী নিবন্ধভরণ-পোষণ দিচ্ছে না ছেলে, বাবার মামলা