আয়কর নির্ধারণে কর কর্মকর্তাদের ‘অবাধ’ ক্ষমতা থাকছে না

| মঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আয়কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর কর্মকর্তারা এখন থেকে আগের মত ‘অবাধ’ ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিজের ইচ্ছামত কর বাড়াতে বা কমাতে পারবেন নাএমন বিধান রেখে আয়কর আইন ২০২৩ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি আয়কর বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমিয়ে সেগুলো সহজ করার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন এ আইনে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র সহজ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সেগুলো সহজতর করার বিষয়ে খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে কেবলমাত্র উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত ২৯টি রিটার্ন ও বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে তা ১২টি করা হয়েছে।

কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর কর্মকর্তাদের বর্তমান ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ডিসক্রিয়েশনি পাওয়ারের বিষয়ে অন্তত ২০টি ক্ষেত্রে, আগে অফিসারের নিজের ক্ষমতা বলে, তিনি যেটা যৌক্তিক মনে করবেন সেভাবে হবে। এখন গাণিতিক ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে। ওই ফর্মুলায় যে রেজাল্ট আসবে, সেটাই হবে নির্ধারিত ট্যাক্স। অফিসার নিজে ইচ্ছা করলেই বাড়াতে বা কমাতে পারবেন না। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমার ওপর কত ট্যাক্স ধার্য হবে, আগে আয়কর কর্মকর্তা সেটা কিছুটা ডিসাইড করতেন। আয়কর কর্মকর্তার কাছে যেটা যৌক্তিক বলে মনে হত, সেটা উনি করতে পারতেন। এতে আপিলের সংখ্যা বেড়ে যেত। আমাকে করতেন, আমি মানতাম না, আমি তখন আপিলে চলে যেতাম। এখন যেটা করা হয়েছে ওই কর্মকর্তার সাবজেক্টিভ জাজমেন্টের ওপর নয় বরং একটা ফর্মুলা করা হয়েছে সেখানে অবজেক্টিভ ইনফরমেশনগুলো দেবেন, ফর্মুলা আপানাকে ক্যালকুলেট করে দেবে। এতে হয়রানির সুযোগ কমে যাবে।

বর্তমান আয়কর আইনের মূল আইনটি ১৯২২ সালের জানিয়ে তিনি বলেন, পরে ১৯৮৪ সালে একটা অধ্যাদেশ করা হয়, সেটা দিয়েই এখন পরিচালিত হয়ে আসছে। মন্ত্রিসভার একটা সিদ্ধান্ত ছিল সামরিক শাসনের সব আইন এবং ইংরেজিতে যেসব আইন আছে, সেগুলো পরিবর্তন করে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা। সে কারণে আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ আইনের খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। আইনটি আজকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা পর্যালোচনা করে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। কর ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে যাতে তুলনা করা যায় সে চেষ্টার পাশাপাশি করজাল বাড়াতে আইন সংশোধনের এমন পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন ১৬ মার্চ
পরবর্তী নিবন্ধটপসয়েল কাটায় কমছে আবাদি জমি