আড়াই বছরের শিশুটি এখন কাতরাচ্ছে হাসপাতালে

ভাইপোকে এনে ফুফুর নির্যাতন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৮ জুন, ২০২৩ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

কিছু মানুষ বুঝি জন্ম থেকেই নৃশংস হয়ে জন্ম নেয়। নয়তো হবিগঞ্জ থেকে ভাইয়ের আড়াই বছর বয়সী ছেলেকে নিজের কাছে রেখে আদরে মানুষ করার কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে উঠতে বসতে এভাবে বর্ববরোচিতভাবে নির্যাতন করার তো কথা নয়! অথচ তাই ঘটেছে। ৯৯৯এ ফোন পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্ত্রীকে আটক করলেও স্বামী কৌশলে পালিয়ে যান। আর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিএমপির খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে আমাদের মোবাইল টিম। শিশুটি নিজের হাত দিয়ে দেখাচ্ছিল তাকে কোথায় কোথায় মেরেছে। উদ্ধারের পর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। নির্যাতনের কারণে মানসিকভাবে ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিশুটি। আমরা শিশুটির অভিভাবকদের ডেকেছি। তাদের সাথে ও ডাক্তারদের সাথে কথা বলে শিশুটি যাতে স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ওসি জানান, পাষণ্ড এক দম্পতির নির্মম নির্যাতনের শিকার আড়াই বছর বয়সী ছোট্ট শিশুটি নির্যাতনের মাত্রা এতোটাই বেশি যে, প্রায় ক্ষতবিক্ষত শিশুটির ছোট্ট শরীর। আহত শিশুটি এখন কাতরাচ্ছে হাসপাতালে।

জানা গেছে, ৯৯৯এ এক কলারের অভিযোগ পেয়ে নাসিরাবাদ এলাকায় মহসিনের কলোনি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।

পুলিশ জানায়, মাস কয়েক আগে হবিগঞ্জ থেকে নিজের ভাইয়ের এই শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন ফুফু রুনা ও তার স্বামী নুরউদ্দিন। এরপর কারণে অকারণে শিশুটির ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এদিকে, ছোট্ট শিশুর ওপর এমন অমানবিক ও অকথ্য নির্যাতনে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরাও। তাদের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই শিশুটিকে মারধরের পাশাপাশি দেয়া হতো আগুনের ছ্যাঁকা। এমনকি নিজের সন্তানকে যত্ন করলেও এই শিশুটিকে প্রতিবেশীদের সামনে আছাড় দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাইকারিতে ফের বেড়েছে চিনির দাম
পরবর্তী নিবন্ধ৬ মাসের জন্য কালুরঘাট ফেরির টোল আদায়ে আগ্রহী নয় কেউ