আরবান টেরেস : এক ছাদের নিচে আন্তর্জাতিক মানের পাঁচটি ফুড কোর্ট

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বাঙালিরা এমনিতে ভোজনপ্রিয়। চট্টগ্রামের লোকজনদের মেজবান পছন্দের। ভিন্ন স্বাদের খাবার তাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যময় খাবারের ডালি সাজিয়ে নগরী চট্টগ্রামে আত্মপ্রকাশ করেছে অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘আরবান টেরেস’। কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে বসবাসরত বিপুল বিদেশি নাগরিক এবং পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের ভোজনপ্রিয় মানুষের জন্য এই আয়োজন। গত ৯ মার্চ নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে সিপিডিএল রহিমস প্লাজার সপ্তম তলায় আরবান টেরেস রেস্তোরাঁ যাত্রা শুরু করে। এটি এ এন্ড আই ফুড এন্ড বেভারেজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এ অ্যান্ড আই ফুড এন্ড বেভারেজের স্বত্বাধিকারী ও আরবান টেরেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশমিতা ইরাদ আলী জানান, আন্তর্জাতিক খাবারে চট্টগ্রাম অনেকটা পিছিয়ে। যে চট্টগ্রাম সবকিছুতে এগিয়ে খাবারে কেন পিছিয়ে থাকবে? এ চিন্তা থেকে আরবান টেরেস। এক টেরেসে, এক ছাদের নিচে আসলে আন্তর্জাতিক মানের ৫টি দেশের আলাদা ফুড কোর্ট। একেকটি ফুড কোর্টে শতাধিক মেন্যু আছে। ইতালি ও কলকাতা কিচেনে ৩০৪০ পদ আছে। এটি ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট। পরিবেশটা অনেক ভালো। সুন্দর বারান্দা আছে, কিডস জোন আছে। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য এটি। জাপানি আইটেম তরুণরা পছন্দ করে। বয়স্কদের ভারতীয় খাবার রেখেছি। কাবাব, কারি, বিরিয়ানি আছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের আরও খাবার যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আসন্ন রমজানে আরবান টেরেসকে ভিন্নভাবে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আশমিতা ইরাদ আলী।

হোটেল আগ্রাবাদের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইরাদ আলী জানান, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, জাপান, ভারত, ইতালির বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার থাকছে রেস্তোরাঁয়। দেশের ফুড কোর্টে বিদেশি ফ্লেভার এটিই তাদের লক্ষ্য। তবে এর পাশাপাশি দেশীয় খাবারও থাকছে। বড় আয়তনের রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন দেশের খাবার পানীয়ের আলাদা আলাদা কর্নার করা হয়েছে। জেলাটিসিমো কর্নারে পাওয়া যাচ্ছে ফলের নির্যাস থেকে কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার ছাড়া আইসক্রিম। চা টাইমে রয়েছে তাইওয়ানের সুস্বাদু বাবল ড্রিংকস, জুসসহ আরও নানা পানীয়। আজুকি কর্নারে জাপানকোরিয়ান স্বাদের খাবার। ইন্ডিয়ান ফুড আইটেমের জন্য ক্যালকাটা কিচেন। ইতালিয়ান খাবারের জন্য টাইনিটালিয়ান। ক্রেতারা পছন্দের খাবার অর্ডার দেওয়ার পর তিনজন অভিজ্ঞ বাবুর্চি তাৎক্ষণিক খাবার তৈরি করে পরিবেশন করে। তিনি আরও জানান, বিদেশিদের অনেকে তাদের দেশের খাবারের স্বাদ পেতে চান। সেই চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্টটি করা হয়েছে। খুলশীসহ চট্টগ্রামের অনেক স্থানে বিদেশিরা থাকায় আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়ছে সাইবার ক্রাইম
পরবর্তী নিবন্ধশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, পতেঙ্গায় যুবক গ্রেপ্তার