আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ‘সহ-ব্যবস্থাপনা দিবস’ পালন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ মার্চ, ২০২২ at ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

বন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে বন পাহাড়া দিতে গিয়ে ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কমিউনিটি পাহারা দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম অবৈধ কাঠ চোরদের ছুরিকাঘাতে মারা যান। এছাড়াও, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির আরও পাঁচজন সদস্য বিভিন্ন সময়ে বন সংরক্ষণ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।

বন বিভাগ রফিকুল আলমের মৃত্যুর দিনকে (২৩ মার্চ) সহ-ব্যবস্থাপনা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে ‘আরণ্যক ফাউন্ডেশন’ তাদের প্রধান কার্যালয়ে সরাসরি উপস্থিতি ও একইসাথে অনলাইনের মাধ্যমে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বনবিভাগের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক (বন ব্যবস্থাপনা ইউনিট) মো. জাহিদুল কবির। আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা (বন ব্যবস্থাপনা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল।

সভায় প্রতিবেশ প্রকল্পের পক্ষ থেকে আজাহার মজুমদার ও ড. মদিনুল আহসান, সুফল প্রকল্পের কনসালট্যান্ট রুহুল মোহাইমান ও কম্পাস প্রকল্পের শামস উদ্দিন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

তাছাড়া অনলাইনে মৎস্য অধিদপ্তরে ঢাকা জেলার জেলা কর্মকর্তা ও প্রতিবেশ প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট, আইসিসিএডি, কোডেক, নেকম, সিএনআরএসের প্রকল্প পরিচালক-উপ প্রকল্প পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং লাউড়াছড়া, সাতছড়ি, কয়রা, হিমছড়ি, ইনানী, ফাসিয়াখালী সিএমসির সভাপতি, ট্রেজারারসহ ২৭ জন প্রতিনিধি অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রুহুল মোহাইমান ২০০৩ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বিভিন্ন কর্মকান্ড, শিখন ও বিধি উপ-বিধি নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সাতছড়ি রক্ষিত বনের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামসুন্নাহার চৌধুরী, আবু মোর্শেদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি-হিমছড়ি, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সভাপতি মেদাকচ্ছপিয়া, শহিদুল্লাহ কায়ছার, সভাপতি ইনানী শেখ জামাল জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ প্রায় সকল প্রতিনিধিরা সহ-ব্যবস্থাপনার বর্তমান কার্যক্রম এবং উন্নয়নের জন্য সুপরিশ প্রদান করেন।

সভায় ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে সকল সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ, এছাড়া, বন বিভাগসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় বাড়ানো এবং সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়।

বন পাহাড়া দলের সদস্যদের পাহাড়া দেয়ার জন্য সম্মানজনক ভাতা প্রদানের জন্য সভায় সুপারিশ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঙালির ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকিয়েভে গোলাবর্ষণে রাশিয়ার সাংবাদিক নিহত