আধুনিক লাইফ স্টাইলের সব সুবিধা নিয়ে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এপিক প্রপার্টিজ

| মঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আধুনিক লাইফ স্টাইলের সব সুবিধার সন্নিবেশ ঘটিয়ে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এপিক প্রপার্টিজ নাগরিক জীবনধারাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করছে। চট্টগ্রামের আবাসন শিল্পে আধুনিক লাইফ স্টাইলের নান্দনিক ও বিলাসবহুল সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিগত ১৮ বছর ধরে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্বনামধন্য আবাসন কোম্পানি এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড। বহু সফল প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় এপিক প্রপার্টিজ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পে একইসাথে যেমন অনেকগুলো পরিবার বসবাস করার সুবিধা রাখা হয়েছে তেমনি তাদের উন্নত জীবনধারণের জন্য অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধাও তৈরি করে দিচ্ছে। নতুন নতুন প্রকল্পে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধার সন্নিবেশ ঘটাচ্ছে এপিক। বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে সুইমিং পুল, আধুনিক ব্যায়ামাগার, পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কমিউনিটি হল, বাস্কেট বল গ্রাউন্ড, জগিং এরিয়া, ডে কেয়ার সেন্টার, একাধিক ব্যাটমিন্টন কোর্ট, মুভি ক্লাব, লাইব্রেরি, ধর্ম সংস্কৃতি চর্চার সকল সুবিধাদি। পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা ফিটনেস সেন্টার ও জিম সুবিধা, এটিএম বুথ, ফার্মেসি, সুপারশপসহ নানা আধুনিক নাগরিক সুবিধা। এছাড়া বাস্তবায়িত প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের সারাজীবনের দায়িত্বও এপিক কাঁধে তুলে নিচ্ছে।
এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে আবাসন শিল্প খাতে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড। চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে এপিকের বিস্তৃতি ঘটেছে রাজধানী ঢাকাতেও। বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে আধুনিক বাণিজ্যিক অবকাঠামো এবং আবাসিক স্থাপনায় নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তুলতে আকাশ ছোঁয়া সাফল্য এপিক প্রপার্টিজের।
এপিক প্রপার্টিজ সবসময় সবশ্রেণীর মানুষের কাছে একটি বিশ্বাস এবং আস্থার নাম। গ্রাহকদের বিশ্বাস এবং আস্থার নির্ভরতায় চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন করেছে কয়েকশ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প। আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি রেডিমিঙ, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, নির্মাণ কনসাল্টিং-এ নিজেদের দক্ষতা এবং শৈল্পিকতার প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে এপিক।
এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ খুবই ব্যস্তজীবন যাপন করে। এই ব্যস্ত জীবনধারার সাথে মিল রেখেই আধুনিক লাইফ স্টাইলের সকল সুবিধাদি দিয়েই আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এপিক। এপিকের প্রকল্প মানেই আধুনিক এবং বিলাসী লাইফ স্টাইল। একই প্রকল্পে যাপিত জীবনের সকল আধুনিক সুবিধা। এপিকের সাম্প্রতিক প্রতিটি প্রকল্পেই ৮০ থেকে ১০০টি পর্যন্ত পরিবারের বসবাসের সুযোগ থাকছে। আর এই বহুল সংখ্যক পরিবারের জন্য সকল ধরনের আধুনিক নাগরিক সুবিধাও দেয়া হচ্ছে প্রতিটি প্রকল্পে।
প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের উন্নয়নে এপিক নিজেদের সামর্থের সর্বোচ্চ অবদান রাখছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে নান্দনিক সব আবাসন ও বাণিজ্যিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এপিক। এতে করে দিনে দিনে এপিক প্রপার্টিজ পরিণত হয়েছে একটি উজ্জ্বল নামে। নগরীর সবগুলো প্রাইম লোকেশনসহ নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকাই রয়েছে এপিক প্রপার্টিজের প্রকল্প।
বর্তমানে এপিকের বাস্তবায়নাধীন অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে। এগুলোর কোন কোনটিতে নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে, কোনটির নির্মাণকাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। আবার কোন কোনটির চাবি হস্তান্তরের অপেক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে নগরীর সাউথ খুলশী ইস্পাহানী হিলস এলাকায় ক্রাউন রিজ এপিক (রেডি), ক্রাউন ক্রেস্ট এপিক (অনগোইং), বাদশামিয়া সড়কে এপিক ফেরদৌস উইন্ডসোর (অনগোইং), কালা মিয়া বাজার এলাকায় এপিক নুরল্যানড মার্ক (রেডি). লালখান বাজার চানমারী সড়কে এস এ সিদ্দিকী পার্ক (অনগোইং), চকবাজার পারসিভাল হিলে এপিক ভূইঁয়া ইম্পেরিয়াম (অনগোইং), নাসিরাবাদ হাউজিং এলাকার এপিক হুদা প্যালাসিও (অনগোইং), আসকার দীঘির পাড় এলাকায় গডস গিফটস এপিক (অনগোইং), উত্তর সিরাজউদ্দৌলা রোডের এপিক হাদি ক্যাসেল (অনগোইং), কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার এপিক সালেহ সিয়েলো (রেডি)। এছাড়া রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে স্টুডিও ২৩ নামের একটি আবাসন প্রকল্প এবং নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এপিক মারুফা গার্ডেন এবং রামপুরা এলাকায় এপিক গফুর এনক্লেভ নামের দুটি আবাসন প্রকল্পের।
এপিক প্রপার্টিজের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, আবাসন শিল্পের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই এই শিল্পের উন্নয়ন এবং মানুষের আস্থা অর্জনে শতভাগ সফল একটি প্রতিষ্ঠান এপিক প্রপার্টিজ। আগামী দিনে আরও বিলাসবহুল, আধুনিক এবং নান্দনিক সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়ে আসছে এপিক। দীর্ঘ ১৮ বছরের সফল অগ্রযাত্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ এপিকের ওপর আস্থা রাখায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেইপিজেড : শিল্পায়নের মাইলফলক
পরবর্তী নিবন্ধনোয়াজিশপুরে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক সভা