আইন মন্ত্রণালয় বলেছে সুযোগ নেই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

খালেদার বিদেশ যাওয়া

| বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে অস্থায়ীভাবে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইনতগত কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের অবস্থান আপনারা বুঝতে পারছেন। আমরা বসে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আসছিলেন, একটি চিঠি দিয়েছেন আমরা দেখেছি। আইনমন্ত্রী একটি মতামত দিয়েছেন, সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি, আরও অধিকতর জায়গায় যদি নিতে হয় তাহলে আমরা পরামর্শ নেব। এখন আমাদের পর্যালোচনায় এটা এসেছে যে, এটা নিয়ে আরও আমাদের কথা বলতে হবে।
এর আগে সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালাদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার ভাইয়ের করা আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে সেখানে কী থাকছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বলেছিলেন, এই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। যেহেতু এই আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তাই কী মতামত দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদার পরিবারের আবেদনে তাকে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তবে তাতে শর্ত ছিল, তাকে দেশেই থাকতে হবে। কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া উঠেন গুলশানের বাসা ফিরোজায়। এরপর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ বছরের মাঝামাঝি তিনি প্রায় দুই মাস হাসাপাতালে থাকেন। এরপর আরও দুই দফা তাকে হাসপাতালে যেতে হয়।
৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার ‘সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই’ দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই। সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইনের ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারেন : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধরহমাতুল মুনিম আরও দুই বছর এনবিআরের চেয়ারম্যান