একটা ব্যাপার ঘটে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ২০২২ সালে একান্ন বছর পার করছে এবং সাথে সাথে যে পর্যায়ে শক্তিমত্তা লাভ করেছে, বাংলাভাষা কি সে পরিমাণে শক্তিশালী হয়েছে? বাংলাদেশ জলজাহাজ তৈরি করছে, বিমান বানানোতে নামছে, গাড়ি নির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ-বান্ধব বিশাল বিশাল শিল্পাঞ্চল গঠন করছে, পুর উন্নয়নের জন্য কাঁচামাল, যেমন লোহার রড, সিমেন্ট বাংলাদেশ শুধু প্রস্তুত করছে না, রফতানিও করছে। শিক্ষাবিভাগের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রযুক্তি-র্নিভর শিক্ষাদান পদ্ধতি দেশব্যাপী চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভৌতকাঠামোগত উন্নতি ইর্ষণীয়। পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, এরকমই জানতে পারছি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে, বহু প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, করোনা মহামারি ঠেকানোতে বাংলাদেশের সাফল্য বিষ্ময়কর। প্রায় দুই বছর হয়ে গেল করোনা ঢুকেছে, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা এখনো ত্রিশ হাজারের বেশি নয়। চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব নামক একটি ধারণা শিক্ষাবাহী সংস্থাগুলিতে ব্যাপক পরিচিতি পাচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব চলছে, এবং সরকারের যে দশটি উন্নয়নসূচক কৃষি প্রকল্প আছে, তার মধ্যে “আমার বাড়ি, আমার খামার” নামক প্রকল্পটি ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আগে যে সব বিশাল বিশাল বিদেশী দুধেল গরচ দেখে আমরা দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলতাম, সেরকম গরচ প্রজনন কেন্দ্র সারা দেশেই ছড়িয়ে আছে। এত বিশাল বিশাল গরচ দেখে বিশ্বাসই হয় না যে এরা বাংলাদেশে প্রজননকৃত গবাদি পশু। আলু, পটল, শাক-সব্জীর উৎপাদন একর একর জমিতে উৎসবের মতো ফলে, দেখে চোখ ভরে যায়, তেমনি সে চিরাচরিত ধানের সবুজ-হলুদ ক্ষেত দিগন্তপ্রসারী চিত্রপট তৈরি করেছে। আর দারিদ্র! হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে দারিদ্রের সাধারণ হার লক্ষনীয়ভাবে কমেছে, যদিও এখনো কোন কোন অঞ্চলে গা-শিউরে ওঠা দারিদ্র লক্ষ করা যায়।
এই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বছর ত্রিশ আগেও আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। বলা হচ্ছে, আশা করা যায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য পর্যায়ের উন্নত দেশের ক্যাটাগরিতে ঢুকবে। তবে, একটা দীর্ঘ নি:শ্বাস থেকে যাচ্ছে বাংলা ভাষার প্রচলন ও বিস্তার নিয়ে। আসলে বাংলাদেশের ব্যাপক ভৌত ও প্রযুক্তিগত উন্নতিই মনে হয় বাংলা ভাষার সর্বত্র ব্যবহারের অমর একুশের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছে। ব্যাপারটা খাপছাড়া মনে হলেও ব্যাপারটা সত্য। কেন না আমাদের শিল্প, শিক্ষা, ও বাণিজ্যের প্রসারের কারণে বিশ্বমেলায় যতই আমাদের সড়গড় উপস্থিতি বাড়বে, ততোই বাংলাভাষার সর্বত্র ব্যবহারের পরিধি ও প্রয়োজনীয়তা কমে আসতে বাধ্য। বিশ্বের এখন সবচেয়ে আদৃত ভাষা ইংরেজি, কিংবা এর পর পর ফরাসী কিংবা স্প্যানিশ, কিংবা জার্মান, কিন্তু বাংলা ভাষার চেয়ে অনেক দাপুটে ভাষা হিন্দি বা আরবি পর্যন্ত বিশ্ব আঙ্গিকে জায়গা করে নিতে পারছে না। তা হলে, দেশতো আর ভাষার জন্য বসে থাকবে না। সে একটা আপসমূলক পরিপ্রেক্ষিতের মধ্যে এগিয়ে যায়: তার প্রসারণের জন্য ইংরেজি ভাষার দরকার হলে সে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করবে, কিংবা চিনের সঙ্গে ব্যবসায়ী-কারবার বেড়ে গেলে হয়ত সে চিনা ভাষা ব্যবহার করবে। অর্থাৎ, ভাষার ক্ষেত্রে আমার যেমন একুশে ফ্রেবৃুয়ারি কাছাকাছি এগিয়ে এলে একটি জবরদস্তিমূলক মনোভাব তৈরি করি যে সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে, সেটি আসলে বাস্তবে টিকবে না। কোন কোন সিটি কর্পোরেশন ইদানীং, বছর দুয়েক ধরে দেখছি, একুশে ফেব্রুয়ারি আসার প্রাক্কালে রাস্তাঘাটের দোকানপাটের সাইনবোর্ডে ইংরেজি লেখাকে কালো করতে উদ্যোগী হয়। এটাতে ৫%-এর বেশি সাইনবোর্ডের ইংরেজি কালো কালি দিয়ে যেমন মোছা যায় না, তেমনি একুশে চলে যাবার সাথে সাথে এগুলি আবার পূর্বের ইংরেজিতে ফিরে আসে। এই পদ্ধতিটি নেহাৎই একটি আহাম্মকী কাজ।
আসলে যে ভুলটি আমরা করি, সেটি হলো পোষাকী একটি চর্চাকে প্রাধান্য দিতে থাকি, বাস্তবে যার সমর্থনযোগ্য ভিত্তিভূমি নেই। বাস্তবে যেটা আছে সেটা হলো রাষ্ট্র ও সমাজের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অগ্রসরমানতায় ভাষার প্রাধান্য এবং ব্যবহার হচ্ছে আরো অনেকগুলি উপাদানের মধ্যে একটি। সে জন্য ভাষা একটি মৌল উপাদান নয়, এটি অন্যতম একটি উপাদান। কিন্তু রাজনীতি (সকল ধরনের রাজনৈতিক শাসন) এবং অর্থনীতি হলো মৌল উপাদান। এবং ধর্মও সে কারণে মৌল কোন উপাদান নয়। ভাষার নাব্যতার কথা যদি আমরা স্বীকার করি, তা হলে দেখব যে ভাষার মতো ক্ষণস্থানিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর ক্ষমতা আর কোন উপাদানের মধ্যে নেই। কিন্তু ভাষাকে স্থায়ী ও অব্যয়িত বা অত্যাবশ্যকীয় ধরে নিলে সমস্যা হয়। ভাষা যোগাযোগের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কিন্তু এটা অব্যয়ী উপাদান নয়। এটা ব্যায়িত এবং বিকল্প-সম্ভব এবং বিকল্প-গ্রহণেচ্ছু একটি মাধ্যম। যেমন ধরচন, চট্টগ্রামের মালুমঘাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ সহোদর ভাই যখন এক সাথে নিহত হলেন, তখন টিভির সাংবাদিকদের স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা যখন ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন তাঁরা কিন্তু যে বাংলা বলছিলেন, সেখানে মাঝে মাঝে দু’একটি বাংলা শব্দ ও ছোট বাক্য ছাড়া বাকিটা ছিল একেবারে খাঁটি চাঁটগাঁইয়া উচ্চারণে চাঁটগাঁইয়া শব্দে ভরপুর কথন। হয়ত অচাঁটগাঁইয়াদের বুঝতেও কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু টিভি কর্তৃপক্ষ এই সংবাদ-প্রতিবেদনগুলো প্রচার করেছিলেন ঘটনাটির গুরচত্ব দেখে, কিন্তু ভাষার অব্যয়িতার জন্য নয়, ভাষার ব্যয়িতার বা বিকল্পতার জন্য। আরেকটি প্রসঙ্গ আমরা চিন্তা করতে পারি। বাংলাদেশ যখন হলো, তখন পশ্চিমা কিছু নেতৃবর্গ এটাকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে বাংলাদেশ অর্ধ শতাব্দী বয়সে পৌঁছে বিমান তৈরিতে হাত দিয়েছে, অথচ সে দিক থেকে ভাষার প্রচলন সর্বস্তরেতো হয়ইনি, বরঞ্চ ডিজিটাল সভ্যতার প্রযুক্তি গ্রহণের ফলে বাংলার প্রচলন বাড়লেও, তার চেয়ে শতগুন বেড়ে যাচ্ছে অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ভাষাগুলোর।
ঠিক যেমন সাইনবোর্ডে ইংরেজি শব্দ কালো করে দিয়ে বা মুছে ফেলে সর্বস্তরে বাংলাভাষার প্রচলন করা যায় না, তেমনি একুশে ফেব্রচয়ারিকে ইউনেস্কো কর্তৃক আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মর্যাদা দেবার ফলে বাংলা ভাষার সম্মান অত্যুচ্চে পৌঁছালেও এটা থেকে সরাসরি বাংলাভাষাভাষী অঞ্চলে (বাংলাদেশে বা পশ্চিমবঙ্গে) বাংলা ভাষার প্রচলন বৃদ্ধি হবার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। বরঞ্চ যেটা হয়েছে সেটি হলো বাংলা ভাষা একটি গৌরবজনক শীর্ষতা থেকে পৃথিবীর সব দেশের মাতৃভাষাকে সমমর্যাদায় উপনীত করলো। অর্থাৎ, এটি একটি আলংকারিক সম্মান। এই সম্মানের প্রয়োগ বা কার্যকারিতা বাস্তব ক্ষেত্রে খুবই সীমিত। যেমন ধরচন, অন্য একটা পরিপ্রেক্ষিত থেকে আমরা উদাহরণ টানতে পারি। জাতিসংঘের মহাসচিব যে দেশ থেকে নির্বাচিত হন, সেটি ঐ দেশের জন্য একটি আলংকারিক সম্মান, কিন্তু সেই দেশটি, যেমন উ থান্টের বার্মা (বর্তমানে মায়ানমার), কফি আনানের ঘানা, বা গুয়েতরেজের পর্তুগাল পৃথিবীর উন্নত ও আদর্শনিষ্ঠ দেশগুলির মধ্যে অগ্রবর্তী সে কথা বলা যাবে না।
বরঞ্চ বাংলাদেশের ভিতরে ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেটি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক জীবনে লক্ষ করা যাচ্ছে যে বাংলা ভাষার শুদ্ধতার চেয়ে আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণের প্রবণতা অকাতরভাবে বহুগুণ বেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর বচন ‘দমায়ে রাখতে পারবা না’, ‘করবা না’, ইত্যাদি আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার ডালপালা মেলে বরঞ্চ রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম সহ অন্যান্য গণ মাধ্যমে বহুবিধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুদ্ধ ভাষার সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষা মিশিয়ে সারা দেশে এখন একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি হয়েছে। এটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক প্রবাহ। কারণ, কৃষি ও শিল্পের ক্ষেত্রে যখন বৈপ্লবিক উন্নতিসাধন হচ্ছে, যখন গ্রামাঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলো অর্থনৈতিকভাবে প্রণোদিত হয়ে জোরদার হয়ে গেছে, তখন আঞ্চলিক ভাষায় সম্পাদিত কর্মপ্রবাহই অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উচ্চ দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই আমাদের ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসের চরিত্র পুন:সজ্ঞায়িত করা যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় ভাষা-আন্দোলন হয়েছে বলেই বাংলাদেশ হয়েছে। এই পরম্পরতা ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে আমার সঠিক মনে হয় না। একটি দৃষ্টান্ত দিলে ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে। পাকিস্তান যেদিন স্বাধীন হয়, ১৪ আগস্ট ১৯৪৭, সেদিন বঙ্গবন্ধু কলকাতার সিরাজদ্দৌলা হলে কিছু অনুবর্তী রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন যে ‘পাকিস্তান’ নামক যে রাষ্ট্রটি হয়েছে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়াই হবে তার রাজনৈতিক সংগ্রামের লক্ষ্য। আমরা যদি আটচল্লিশ সাল থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্ব ধরি, তাহলেও বলতে হবে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখছিলেন তারই আনুষঙ্গিক এবং সহায়ক ঘটনা হিসেবে ’৪৮ থেকে শুরচ করে ’৫২-এর অমর একুশে পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন সেই স্বাধীন দেশের মুক্তির লক্ষ্যে একটি সোপান হিসেবে কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধু কোন এক জায়গায় বলেওছিলেন যে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারটা ছিল মূল লক্ষ্য, এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভাষা শহীদেরা অমর অবদান রেখেছিলেন। যেমনটি, আমরা বলতে পারি, অবদান রেখেছিলেন বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী জাতীয় শহীদ নেতৃবৃন্দ। তা হলে ইতিহাসের পরম্পরা ঠিক করে নিতে আমাদেরকে বলতে হবে যে বাংলাদেশ হবার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একুশে ফেব্রচয়ারি এসেছিল, একুশে ফেব্রচয়ারি এসেছিল বলে বাংলাদেশ এসেছিল, সেটি নয়। এই পরম্পরাটা ঠিক করে নিলে আমরা এক দিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের চারিত্রটা ধরতে পারব, অন্যদিকে বুঝতে পারব রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন ভাষার প্রশ্নটি মৌল উপাদান হিসেবে আবেগীয় শ্লোগান তুললেও, বাস্তবে সেটি অবাস্তবায়িত থেকে যায়। এটি বুঝতে পারলে, আমাদের এই খেদও থাকবে না যে সর্বত্র বাংলাভাষা চালু করতে হবে এটি আসলে বাস্তবযোগ্য প্রত্যয় নয়। নয় বলেই আজ পর্যন্ত সর্বস্তরে বাংলা ভাষার চালু হলো না। কিন্তু সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু না হলেও, শুরচর দিকে যেটা বলেছিলাম, দেশতো ভয়ংকর রকম এগিয়ে যাচ্ছে।
তা হলে আরেকটা অনুসিদ্ধান্তে আসলে আমরা বুঝতে পারব কেন ভাষার প্রশ্নটি আসলে ব্যয়িত এবং বিকল্পগ্রহণেচ্ছু। এর আগে বলেছি, বাংলাদেশে প্রায় অকাতরে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা ভাষা যে কোন অব্যয়িত বা অত্যাবশ্যকীয় উপাদান নয়, সেটি বোঝা যায় ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকালে। ভারতে বহু মাতৃভাষা, কিন্তু দেশ একটা, এবং তাদের রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা হিন্দী এবং, সম্ভবত, ভাষা ইংরেজি, যে দু’টির কোনটিই পুরো ভারতের মাতৃভাষা নয়। আবার মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলির সাধারণভাবে মাতৃভাষা একটি–আরবি, কিন্তু দেশ হচ্ছে অনেকগুলি।
যে অর্থে রাষ্ট্র একটি অত্যাবশ্যকীয় অস্তিত্ব, সে অর্থে ভাষা নয়। রাষ্ট্র এবং ভাষাকে তুল্যমূল্য করা যাবে না। তাই পাকিস্তানের সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই অত্যাবশ্যকীয় স্লোগান ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন করার নিমিত্তে, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বস্তরে বাংলাভাষার প্রচলন যথোপযুক্ত দাবি বলে আমার মনে হয় না। সে ক্ষেত্রে ভাষার সৃজনশীল নাব্যতার কথা স্মরণ রেখে এই দাবিটার নিরিখে একটি আপসমূলক ব্যবহাররীতি চালু রাখাই আমার মনে হয় বাস্তবসম্মত।
লেখক: অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, ডিন, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম