অপহৃত ১৬ মাঝি মাল্লাসহ ফিশিং ট্রলার উদ্ধার

মহেশখালীতে তিন জলদস্যু গ্রেপ্তার

মহেশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়ে অপহৃত হওয়া ১৬ মাঝিমাল্লা ও জিম্মি করা একটি ফিশিং ট্রলারকে উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। সেই সাথে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত পুলিশ উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙা নামক স্থানে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে। মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর জানান, গত ২৯ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকা থেকে ১৬ মাঝিমাল্লাসহ এফবি ভাই ভাই৩ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার শাহাদত হোছেনের মালিকানাধীন এ ট্রলারটি সমুদ্র থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরছিল। ট্রলারটি নিখোঁজের ব্যাপারে মালিক পরদিন কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, রাতে মাছ ধরে ফেরার সময় ট্রলারের মাঝি রাত ৯টার দিকে ফোন করে জানান, তারা ট্রলার নিয়ে সমুদ্রের নাজিরারটেকের কাছাকাছি পৌঁছেছেন এবং কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দিকে আসছেন। এরপর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ট্রলারটি আর উপকূলে ফিরেনি এবং মাঝির সঙ্গেও ফোনে সংযোগ স্থাপন করতে পারেনি। সেই থেকে ট্রলারটি মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ হয়ে পড়ে।

মহেশখালী থানা পুলিশ জানায়, ট্রলারটি ছিনতাই ও মাঝিমাল্লা অপহরণের ঘটনায় জড়িত কয়েকজন জলদস্যু মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুর জলদস্যুর বাড়িতে অবস্থান করছেএমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাফরের পুত্র মোহাম্মদ কাইছার (১৯), আব্দুল মালেকের পুত্র মোহাম্মদ সোনা মিয়া (১৯) ও মকবুল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ তারেককে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১টি দেশীয় লাইটার গান (এলজি), ২টি কিরিচ, ১টি দা, ১০টি মোবাইল ফোন, ২টি হাতঘড়ি ও মাছ ধরার ট্রালারের ইঞ্জিনের শেফ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জলদস্যুরা অপহৃত ট্রলারটি মাঝিমাল্লাসহ ছিনতাই করার দায় স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাই করে আনা ঘটিভাঙা এলাকা থেকে অপহৃত ১৬ জেলেসহ ট্রলাটি উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে মহেশখালী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা ও কক্সবাজার থানায় ট্রলার মালিক বাদি হয়ে ডাকাতির ঘটনায় আলাদা আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুতুবদিয়ায় দুই সহযোগীসহ ইউপি মেম্বার আটক
পরবর্তী নিবন্ধমহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ কাল