অন্য জেলায়ও চলবে না ঈদের ৭ দিন মহাসড়কে মোটর বাইক নিষিদ্ধ

| সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

পদ্মা সেতুর পর এবার ঈদের সময় সাত দিন মহাসড়কে মোটর বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে এক জেলায় নিবন্ধিত মোটর বাইকও অন্য জেলায় চালানো যাবে না বলে বলে নির্দেশনা এসেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রাণালয়ের এক সভা থেকে। গতকাল রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে (ভার্চ্যুয়ালি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও
নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল আজহার আগের তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিন সারাদেশের মহাসড়কে যৌক্তিক কারণ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। অনুমোদিত এলাকার বাইরে মোটরসাইকেল রাইড-শেয়ারিং করা যাবে না। পাশাপাশি এক জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। তবে যৌক্তিক ও অনিবার্য প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে।
এতে আরও জানানো হয়, নিত্যপণ্য, কাঁচামাল, ওষুধ, জ্বালানি তেল, গার্মেন্টস সামগ্রী, রপ্তানি পণ্য, পচনশীল দ্রব্য, পশুবাহী ট্রাক ছাড়া ভারী পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিন সারাদেশের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের উপরে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ সময় তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন না করার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানান। সেইসঙ্গে সিএনজি ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান। পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য তিনি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহনে এ পথে ঢাকায় আসবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এ চাপ মোকাবিলায় পদ্মা সেতু ও এঙপ্রেসওয়ের টোল প্লাজাসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক নেতারা এবং বিভাগীয় কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও একজনের মৃত্যু শনাক্ত ৫০
পরবর্তী নিবন্ধপেঁয়াজ কেজিতে কমেছে ৬ টাকা আমদানির খবরে বাজার নিম্নমুখী