অনুমোদন ছাড়াই চলছে কয়েলের কাঁচামাল তৈরির কারখানা

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১১ জুন, ২০২২ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের হাইওয়ে থানা সংলগ্ন সোনাপাহাড় এলাকায় চলছে মশার কয়েলের কাঁচামাল তৈরির কারখানা। কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ উঠেছে। বসতঘরের পেছনে কাঠ পুড়িয়ে কয়েলের কাঁচামাল তৈরি করা হচ্ছে। ফলে ধোঁয়া ছড়িয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের জনজীবন। ছড়াচ্ছে কাঁচা কাঠের গন্ধও।

জানা যায়, কারখানায় বড় পাঁচটি চুল্লিতে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা গন্ডি (এক ধরনের পাহাড়ি কচু) বড় বড় কাঠের টুকরা দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়েও কোনো ব্যবস্থা নেই। ১২/৮ ফুটের প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিদিন ৫০৬০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। কারখানাটির জায়গার মালিক মোহাম্মদ দাউদ বলেন, কারখানা স্থাপনের বৈধ কাগজপত্র আছে জেনে ভাড়া দিয়েছি। তবে কাগজপত্র দেখিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার বাবলু দে বলেন, কারখানাটি আমার বড় ভাইয়ের। মিয়ানমার থেকে কয়েল তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে এখানে শুকানো হয়। পরে ঢাকায় বিভিন্ন কয়েল ও আগরবাতি কারখানায় পাঠানো হয়। বৃষ্টির কারণে কাঁচামালগুলো আগুন দ্বারা শুকানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হলে আমরা বন্ধ করে দেবো। পরিবেশ দূষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার মালিক ছোটন চন্দ্র দে বলেন, আমরা এখানে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছি। আমরা নিয়মিত আয়কর পরিশোধ করি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই এটা সত্য।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, তথ্য গোপন করে কয়েল তৈরির কাঁচামালের কারখানার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করে তাহলে ইউএনওর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, জনবসতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া এভাবে কাঠ পোড়ানো অবৈধ। আমরা শিগগির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধপদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে স্বর্গে যাব : ফখরুল