অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে আশাবাদী হতে চান সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৯ মার্চ, ২০২৪ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলংকার বিপক্ষে টিটোয়েন্টি সিরিজে হারলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে দাপটের সাথে। কিন্তু টেস্টে আবার প্রথম ম্যাচে বিব্রতকর পরাজয়। তিন সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর শুরুটা বলা যায় অম্লমধুর। তার অধিনায়কত্বের নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণও শুরু হয়ে গেছে। তবে তার নেতৃত্ব নিয়ে মূল্যায়নের সময় এখনও আসেনি বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। গত বছর তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই তিন সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে বিসিবির প্রথম পছন্দ ছিলেন সাকিব। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে খেলেছে বাংলাদেশ। আর টিটোয়েন্টি ও টেস্টে আগে থেকেই তার কাঁধে ছিল নেতৃত্ব। সব কিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরেও হয়তো তিন সংস্করণে টস করতে দেখা যেত সাকিবকে। এতে বাগড়া দেয় সাকিবের চোখের সমস্যা। গত বছরের বিশ্বকাপ থেকেই এই কারণে ব্যাটিংয়ে ভুগছেন তিনি। গত মাসে শান্তকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার সময় বিসিবির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সাকিবের চোখের সমস্যার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শান্ত নেতৃত্ব পেয়েছেন চলতি বছরের জন্য। শুরুটা হয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে। এর আগে ভাপ্র্রাপ্ত দায়িত্বে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে, বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে একটি করে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি জয়ে দারুণ অধিনায়কত্ব করেন শান্ত। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়েও মাঠ পরিচালনায় তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ফিল্ডিং সাজানো, বোলিং পরিবর্তন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলারদের সঙ্গে আলোচনায়ও বেশ সক্রিয় দেখা যায় তাকে। টেস্টের কঠিন পরীক্ষায় অবশ্য শুরুতে হোঁচট খেয়েছেন শান্ত। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হারের ম্যাচে বোলিং ইনিংসের সময়ও ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের পাল্টা আক্রমণের কোনো জবাব যেন দিতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ভালো করার বাড়তি রসদ পাচ্ছেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ফিরেছেন সাকিব।

দলে যোগ দেওয়ার আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো ব্যাখ্যাবিশ্লেষণে যেতে চান না তিনি। শান্তর অধিনায়কত্বের খুবই প্রাথমিক পর্যায় এখন। আমি নিশ্চিত, বিসিবি ওকে লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করেই দায়িত্ব দিয়েছে। ওর শুরুটা খুবই ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে, যেটা ওকে সাহায্য করবে আরও বেড়ে উঠতে। আমার ধারণা সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন নেতা হবে। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে প্রায় ৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি সবশেষ খেলেছেন গত বছরের এপ্রিলে। এই সিরিজের কোনো ম্যাচই অবশ্য খেলার কথা ছিল না তার। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, পুরো সিরিজেই তাকে পাবে না বাংলাদেশ।

তবে দলের প্রয়োজনে তিনি ফিরেছেন। তবে সবচাইতে বড় যে কথাটা তিনি বললেন তা হচ্ছে শান্তকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। শান্তকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মত অনেক কিছুই আছে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইন্‌ডোর গেমস শুরু
পরবর্তী নিবন্ধআইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার সৈকত