অত্যাচারী তুমি মানুষ নও

মিনহার সুলতানা নিকা | শনিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেয় না। অন্যায়, অবিচারের ফল সে এ দুনিয়াতেই পেয়ে থাকে। মানুষ লোভের আঁধারে অন্ধ হয়ে থাকে বলে এ কথা ভাবে না। লোভ আর হিংসা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ন্যায়বিচার এমন একটি শব্দ যার সঙ্গে কিছু বিষয় এত গভীরভাবে জড়িত যে এর একটির কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটলে ন্যায়বিচার ভুলুণ্ঠিত হয়। যার যা প্রাপ্য তাকে সেই প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম জুলুম। সে হিসেবে কারো অধিকার হরণ, বিনা অপরাধে নির্যাতন, আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন, মানহানিকর অপবাদ দেওয়া, দুর্বলের ওপর নৃশংসতা চালানো, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হরণ, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, উৎপীড়ন বা যন্ত্রণা ইত্যাদি কাজ জুলুমের পর্যায়ভুক্ত। যে সব মানুষ অন্য মানুষের প্রতি অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার করে তাদেরকে জালেম বা অত্যাচারী বলা হয়। পৃথিবীতে অত্যাচারীর সংখ্যা যত বেশিই হোক না কেন, কেউ নিজেকে কখনো অত্যাচারী বলে স্বীকার করে না। উল্টো দেখা যায়, অত্যাচারী নিজেকে মহামানব বলে দাবী করে। সাধারণত অত্যাচারী ব্যক্তি ক্ষমতাবান হয়ে থাকে, বিধায় তাকে কেউ অত্যাচারী বলার দুঃসাহস করে না। বর্তমানে বেশ কিছু মানুষের দেখা মেলে, যাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় অন্যায় করায় কোন দোষ নাই, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করা মহাদোষ। এরা সর্বদা অন্যায়কারীর পক্ষে কথা বলে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদকারীর বিভিন্ন দোষত্রুটি ধরে হেয় করার চেষ্টায় থাকে। কেউ কোন অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ করার মত সাহসী লোক এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। ফলে অন্যায় ক্রমবর্ধমানহারে বেড়েই চলছে। অপরদিকে অন্যায়ের প্রতিবাদকারীর সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে।একজন অত্যাচারী হতে পারে কোন এক সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানির পরিচালক, একজন অত্যাচারী হতে পারে কলেজের অধ্যক্ষ, একজন অত্যাচারী হতে পারে স্কুলের শিক্ষক, একজন অত্যাচারী হতে পারে সমাজ বা রাষ্ট্রেই বড়ো কোন নেতা, একজন অত্যাচারী হতে পারে একজন সাধারণ মানুষ। অত্যাচারী যেই হোক চলুন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবসন্ত মৌতাতে
পরবর্তী নিবন্ধপরিবার থেকেই বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা শুরু হোক