নগরীর পাহাড়তলী চালের বাজারের একটি আড়ত থেকে ভারত থেকে আমদানি করা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭০ টন চাল জব্দ করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় মাহী ট্রেডার্সের আড়তদার আব্দুল বাহার মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল নগর গোয়েন্দা (বন্দর) পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এদিকে গতকাল বিকেলে আড়তদার আব্দুল বাহার মিয়াকে আদালতে তোলা হলে মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে বন্দর বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুল উল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ডিবি এসি (বন্দর) মো.ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকে ২৬০ বস্তা এবং গোডাউনের ভেতরে ১ হাজার ১৪০ বস্তাসহ ১ হাজার ৪০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব চালের ওজন ৭০ টন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আড়তদার আব্দুল বাহার মিয়া সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে নিজস্ব সিল সম্বলিত বস্তায় প্যাকেটজাত করে খোলাবাজারে বিক্রির করার কথা স্বীকার করেছেন। ভারত থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানিকৃত চালের ট্রাকটি বন্দর জেটি খাদ্য অফিস থেকে নোয়াখালীর চরভাটা এলএসডি গোডাউনে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে না গিয়ে পাহাড়তলী চাল বাজারের আড়তদার আব্দুল বাহারের গোডাউনে চলে যায়।
সূত্র জানায়, জব্দ করা এসব চালের পরিবহনকারী সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্স। চাল প্রেরণের স্বাক্ষর রয়েছে চট্টগ্রাম জেটি খাদ্য অফিসের সহকারী নিয়ন্ত্রক এস এম নূরউদ্দিনের। আব্দুল বাহার মিয়া সবুজ এণ্ড ব্রাদার্সের কাছ থেকে ২৬০ বস্তার চাল প্রতিকেজি ৪০ টাকা করে কিনেছেন। বাকি চাল বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। খোকন নামে এক ব্যক্তি বন্দর থেকে ২৬০ বস্তার চালের চালান বের করে দেন বলে আব্দুল বাহার মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আড়তদার আব্দুল বাহারকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিবি বন্দর বিভাগের এডিসি হুমায়ুন কবির, এসি মো. ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।