ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম শহীদ খানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আবু আলম শহীদ খানের আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আবু আলম শহীদ খান ওকালনামায় স্বাক্ষর করেছেন। তবে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়ে যাওয়ায় আমরা জামিন শুনানি করতে পারেনি। পরবর্তীতে জামিন আবেদন করে আমরা শুনানি করব। খবর বিডিনিউজের। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানিয়েছেন, ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১ এর অনুষ্ঠান থেকে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। আবু আলম শহীদ খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখন তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান শহীদকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন। শহীদ খানকে রোববার রাতে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
১৯৯৬ সালে সচিবালয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার বিরোধী ‘জনতার মঞ্চের’ অন্যতম সংগঠক ছিলেন আবু আলম শহীদ খান। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি শেখ হাসিনা উপ প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তিনি ২০১৫ সালে অবসরে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র আবু আলম শহীদ খান।











