আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। এবারও ঈদযাত্রার কোনও টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে যাত্রীদের। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম এই ঘোষণা দেন। রেলমন্ত্রী জানান, এ বছর সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের রেলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। এতে সকাল ৮টা থেকে পূর্বাঞ্চল এবং দুপুর ২ টায় থেকে পশ্চিমাঞ্চলের রেলের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।
ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৪ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে।
সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত যাত্রার ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। তবে এবার ঈদের ক্ষেত্রে সাত দিন আগে পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন ১৬টি বিশেষ (স্পেশাল) ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবির।
রেল সচিব বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ১৬টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৩ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। যাত্রার দিন প্রতিটি ট্রেনে আসনের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হবে।
যেসব রুটে স্পেশাল ট্রেন চলবে :
চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটের চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (চারটি ট্রেন), চট্টগ্রাম–ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন), ঢাকা–দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) চলবে।
এসব ট্রেন ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরের দিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত চলবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম–কঙবাজার রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল; ঈদের পরদিন থেকে তিন দিন চলবে।
ভৈরব বাজার–কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন); ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ রুটের শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
জয়দেবপুর–পার্বতীপুর রুটে ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) ঈদের আগে ৭ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন; ঈদের পর দ্বিতীয় দিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলাচল করবে।