ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলে গুমকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষকে গুম করছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা যথেচ্ছভাবে গুমকে হাতিয়ার বানিয়েছে। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নূর আহম্মদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার।
মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, বোয়ালখালীর নজরুল ইসলাম বাচাসহ ছাত্র, যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, মুক্তমনা মানুষকে গুম করা হয়েছে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই। গুমের সাথে রাষ্ট্র জড়িত। গুম হওয়া পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনকে ফেরত পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুমের শিকার হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। গুম করা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসলেই জবাবদিহি ফিরবে এবং গুমের অবসান হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতাকে কন্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধী দলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে গুম হওয়া বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচা চেয়ারম্যানের স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী প্রমুখ।