রাইফেলস ক্লাবের দেয়াল ভেঙে গড়া অবৈধ ১১ দোকান উচ্ছেদ

৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ ভোগ করছিল দখলদাররা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ মে, ২০২৩ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম রাইফেলস ক্লাবের পশ্চিমাংশের সীমানা দেয়াল ভেঙে গড়ে তোলা ১১টি দোকান গুঁড়িয়ে দিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১১ টায় আমতল মোড়ের দিকে যেতে রাস্তা সংলগ্ন এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন বাকলিয়া সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিউল হিকমাহ। উদ্ধার হওয়া এসব জায়গা এবং ক্লাবের অভ্যন্তরে থাকা অন্যান্য জায়গা ঘিরে ৮১০ তলার শুটিং কমপ্লেক্স গড়ে তোলাসহ নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বাকলিয়া সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিউল হিকমাহ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাইফেল ক্লাব একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর সীমানার মধ্যে ব্যাংক রয়েছে। নিচে জেনারেটর রয়েছে। এসব কিছুর নিরাপত্তা প্রয়োজন। যেখানে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল অবৈধ স্থাপনাগুলো। যেগুলো ক্লাবের সীমানা দেয়াল ভেঙে রাতের আঁধারে গড়ে তোলা হয়। অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১১টি দোকান গুঁড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ৫ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাইফেল ক্লাবের ৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগ করে আসছিল দখলদাররা। তারা এক সময় ফুটপাতে ছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তারা ক্লাবের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ক্লাবের সীমানা দেয়াল ভেঙে গড়ে তোলা হয় দোকানপাট। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হলেও উপেক্ষা করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ক্লাবের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানা দেয়াল পুণঃনির্মাণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কাউকে ক্লাবের অভ্যন্তরে অসৎ উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না। উচ্ছেদ অভিযানে আরো ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মাদ। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিএমপির ৩০ জন এবং ব্যাটালিয়ন আনসারের ৩০ জন সদস্য অংশ নেন।

ক্লাব ঘিরে নানা পরিকল্পনা : চট্টগ্রাম রাইফেলস ক্লাব নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ক্লাবের পশ্চিম সীমানার দেয়াল ভেঙে গড়ে তোলা দোকানগুলো আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। এক সময় ক্লাবের রাইফেল লুটের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানেও নানা হুমকি রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এখানে আদালতের ইনজাকশন ছিল। কিন্তু দেখা গেল দাগ নম্বরসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক নেই। জেলা প্রশাসক বলেন, ক্লাবের মূল ভবনের পাশে আমরা ৮১০ তলার শ্যূটিং কমপ্লেঙ গড়ে তুলব। কমিউনিটি সেন্টারও করা হবে একটি। সেখান থেকে আয় করবে ক্লাব। আমরা কাজটি শুরু করব। এর বাইরে শ্যূটারদের কথা চিন্তা করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গলসলিমপুরে ক্লাবের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হবে। আউটডোর শ্যূটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সদস্যদের নিয়ে আমরা সেখানে যাব, দেখব। ক্লাব ভবনের নির্দিষ্ট জায়গায় এখন ৫০ মিটারের শ্যূট করা যায়। আউটডোরে ১০০ মিটারের ব্যবস্থা করা হবে। ক্লাবের উন্নয়নে আরো নানা পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আশা করছি, ক্লাবের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশের আগেই ফেইসবুকে ছেলের ফল জানালেন চবি কর্মকর্তা!
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হলেন সুজন