বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যমূলক কোটা প্রত্যাহার চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেন।
মানবন্ধনে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিজুল ইসালম বলেন, আমরা ২০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, তারা দেশের সূর্য সন্তান। কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি–নাতনিরাও পরিশ্রম কম করে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাশরুর আহমেদ বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক যুবক বেকার থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া কী সঠিক সিন্ধান্ত? এ নিয়মের ফলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই, হাইকোর্ট যেন মুক্তিযোদ্ধা কোটার পুনর্বহাল রুল বাতিল করে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের পরে নাতি–নাতনিরাও কোটা সুবিধা ভোগ করছেন। প্রাইমারিতে নারী কোটার আধিক্য এবং রেলওয়েতে প্রায় ৮০ শতাংশ কোটা রয়েছে। নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় চালু হলে সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা তো কোনো দোষ করিনি। শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যেটি আমাদের জন্য কষ্টের, কারণ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ হারাতে হবে।