নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় অধিকাংশ এজেন্ট থেকে রেজাল্ট শিটে প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ। গতকাল শনিবার নগরীর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, কয়েকটি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিল তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একটি মহল আমার ভোটের পরিমাণ কম দেখানোর জন্য ভিলেজ পলিটিক্স করেছেন। তারা ভেবেছেন এতে করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবেন। ভোটের ফলাফলে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ১০–১২ ভোট করে দেখিয়েছেন। ভোটের রেজাল্ট শিটে খেয়াল খুশি মতো সংখ্যা বসিয়ে দিয়েছেন। কিছু কিছু রেজাল্ট শিট ছিল এজেন্টদের স্বাক্ষর ছাড়া। আবার কিছু কিছুতে একহাতের লেখায় এজেন্টদের নাম লিখে একই কলমে একজন সবার স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম–১০ আসনে ২ হাজার ৩৮৫ ভোট বাতিল দেখানো হয়। বাতিল দেখানো ভোটগুলো কোন প্রতীকের ছিল এটা একটা কৌতুহল থেকে গেল।
মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদের নির্বাচনী এজেন্ট পলাশ খাস্তগীর, সমর্থনকারী জাকির হোসেন রিপন, নগর যুবলীগের সাবেক নেতা নেছার আহমেদ, শেখ নাছির আহমেদ, আশরাফুল গনি, শওকত হোসেন, ফিরোজ আলম সবুজ, আশরাফুল আলম টিটু, দেলোয়ার হোসেন দেলু, রাশেদ চৌধুরী ও নাজমুল হাসান রুমি।