পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তব্য প্রদানকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মজিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকার দুটো আলাদা বিষয়। কিন্তু, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালী না হলে এবং সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়। তাই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে চলার সংস্কার করা জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর বলেন,ফ্যাসিবাদ শাসন ব্যবস্থা যেন আর ফিরে না আসে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গনেশ চন্দ্র রায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহম্মেদ,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন, ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ এনায়েত করিম, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি এ এস এম ইফতেখারুল আজম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি মনোয়ারা বেগম এবং আইন বিভাগের সভাপতি জিয়াউল করিম জিয়া। বক্তারা আলোচনায় জুলাই গণগঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দ্রুততসম সময়ে আহতদের চিকিৎসার প্রতি জোর দেন। তাঁরা বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সমতার দাবিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি এই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসরদের জাতির সম্মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানান তাঁরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুরুল আফসার খালেদ, আর্তিকা আজিম উর্বি এবং সিফাতুল ইসলাম। এসময় তাঁরা জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করে সকল শহীদদের স্মরণ করেন এবং শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তাই সকলকে দেশ গঠনে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।