বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট হবে দেড়শ শয্যার

পাঁচ সদস্যের চীনা টিম চট্টগ্রামে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকায় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ৫ সদস্যের চীনা টিম। গতকাল দুপুরে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান তাদের প্রস্তাবিত স্থান ঘুরিয়ে দেখান। এসময় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত, ডা. হুমায়ুন কবীর, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ, মইনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের চীনা এ টিম ঢাকায় পৌঁছায়। গতকাল সকালে তারা চট্টগ্রাম আসেন। দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে কনফারেন্স কক্ষে এক পরিচিতি সভায় মিলিত হন। সেখান থেকে গোঁয়াছি বাগান এলাকায় বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে যান। একজন স্থপতির (আর্কিটেক্ট) নেতৃত্বে চীনা এ টিমে রয়েছেন এয়ার কন্ডিশন এন্ড ভেন্টিলেশন ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, অনুবাদক এবং জিওলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

এতদিন একশ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিটের কথা বলা হলেও চীনা কর্তৃপক্ষ দেড়শ শয্যার ইউনিট করার প্ল্যান প্রস্তুত করেছে বলে জানা গেছে। চীনা টিম প্রাথমিকভাবে একটি প্ল্যান প্রস্তুত করে এনেছেন জানিয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, তাদের প্রাথমিক প্ল্যান অনুযায়ী বিশেষায়িত এ বার্ন ইউনিট হবে দেড়শ শয্যার। এর মাঝে ২০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টিসহ মোট ২৫টি এইচডিইউ এবং জীবাণুমুক্ত অত্যাধুনিক দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকবে। প্রাথমিকভাবে তারা ৬ তলা ভবনের প্ল্যানের কথা জানিয়েছেন। ভবনের প্রতি ফ্লোরে ১৬ হাজার বর্গমিটার স্পেস থাকবে। তবে এসবই প্রাথমিক প্ল্যান। তারা ৮/৯ দিন অবস্থান করবেন। আরো পর্যালোচনা করবেন। আমাদের পক্ষ থেকেও কিছু প্রস্তাবনা থাকবে। সবমিলিয়ে মার্চের ৯/১০ তারিখের দিকে সবকিছু চূড়ান্ত হতে পারে। এর আগে প্রস্তাবিত স্থানটি চীনা দুজন প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে যান। সরেজমিন পরিদর্শন পরবর্তী সার্বিক তথ্যউপাত্ত পর্যালোচনা শেষে প্রস্তাবিত জায়গাটি চূড়ান্ত করে চীনা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ‘চমেক হাসপাতালের বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট : গোঁয়াছি বাগানের স্থানই চূড়ান্ত/চলতি মাসেই আসছে চীনা টিম’ শিরোনামে একটি প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক আজাদী। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে একটি চীনা টিম চট্টগ্রামে আসার কথা জানানো হয় প্রতিবেদনে।

অবশেষে ৫ সদেস্যর চীনা টিম ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছায়। আর গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) টিমটি চট্টগ্রামে আসে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চীনা টিমের চট্টগ্রামে ৯ দিনের কর্মসূচিতে চূড়ান্তকৃত স্থানে সার্ভে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সুবিধা, যোগাযোগ সুবিধাসহ সার্বিক দিক পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে মতবিনিময়ের কথাও রয়েছে এ টিমের। সার্বিক কার্যক্রম শেষ করে ৯ মার্চ তারা ঢাকায় ফিরে যাবেন। ১০ মার্চ এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

এদিকে, চীনা টিম গতকাল চট্টগ্রাম আসলেও ডা. সামন্ত লাল সেন আসছেন শুক্রবার। এ তথ্য নিশ্চিত করে সারাদেশে বার্ন চিকিৎসা সমপ্রসারণে সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়া ডা. সামন্ত লাল সেন আজাদীকে বলেন, তারা (চীনা টিম) চট্টগ্রামে অনেক দিন (৯দিন) থাকবেন। প্রথম দিকে তারা সাইট দেখে সার্ভে করবেন। সার্বিক দিক দেখবেন। কয়েকদিন পর তারা তাদের প্রপোজাল সাবমিট করবেন। ওই সময় আমরা যাবো। মন্ত্রণালয় থেকেও কয়েকজন যেতে পারে। শুক্রবার সকালে হয়তো আমরা পৌঁছবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরের ৩ স্কুলের চল্লিশ সদস্যের ‘ডট গ্যাং’
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি যখন দুর্নীতির অভিযোগ করে তখন হনুমানও ভেংচি কাটে : তথ্যমন্ত্রী