থোকায় থোকায় মাচায় ঝুলছে কালো রংয়ের তরমুজ। ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিটি তরমুজকে ঝুলানো হয়েছে লাল জালি দিয়ে। অসময়ের এ তরমুজ দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। শখের বসে তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাটিরাঙার কৃষক মো. আব্দুর রব। তাকে দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এ জাতের তরমুজ চাষে।
জানা যায়, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কৃষি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় মাটিরাঙা পৌর শহরের চরপাড়া এলাকায় বিশ শতক জমিতে (ব্ল্যাক বেবি) তরমুজ চাষ করেন এ কৃষক। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আইডিএফ কৃষি উন্নয়ন বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
সম্প্রতি মাটিরাঙা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া ঘুরে দেখা যায়, বিষমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে এক খন্ড জমিতে ‘এ’ আকৃতির মাচার ওপরে সবুজ পাতার নিচে ঝুলছে কালো রঙের ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ। মাচায় ঝুলে থাকা তরমুজের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিটি তরমুজকে লাল জালি দিয়ে ঝুলানো হয়েছে। পূর্বে এ জমিতে আলু, ঝিঙাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হতো।
তরমুজ চাষি মো. আব্দুর রব বলেন, আগে তিনি এ জমিতে সবজির চাষ করতেন। আইডিএফ’র পরামর্শে ও অনুপ্রেরণায় তিনি তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজে তার আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসার পাশাপাশি ভোক্তাদের চাহিদা মেটাবে। ভোক্তারা গ্রীষ্মকালেও তরমুজের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে।
ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষে ২০ হাজার টাকা খরছ হয়েছে জানিয়ে কৃষক মো. আব্দুর রব বলেন, ভালো ফলন হলে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
আইডিএফ’র কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা করছে আইডিএফ। ভবিষ্যতে স্থানীয় কৃষকরা এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হলে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি জানান।
মাটিরাঙা উপজেলায় এই প্রথম ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজের চাষ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সবুজ আলী জানান, এ জমিতে প্রায় ৭শ তরমুজ রয়েছে। এ জমিতে ধান চাষ করলে কৃষক এতোটা লাভবান হতো না যতটা তরমুজ চাষে হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষক লাভবান হবেন। এটি চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
