দ্রুত গতিতে চলছে নির্মাণ কাজ

বানৌজা শেখ হাসিনা সংযোগ সড়ক

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামায় নির্মিতব্য দেশের একমাত্র সাবমেরিন ঘাটি (বানৌজা শেখ হাসিনা) সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। তিন প্যাকেজে এই সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।
সড়কটির বর্তমান প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ পয়েন্ট থেকে ১০ দশমিক ৩ পয়েন্ট উন্নীতের কাজ শেষ হলে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে আশপাশের উপকূলীয় চারটি উপজেলার। সড়কটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘একতা বাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি’ সংযোগ সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬১ কোটি টাকা।
গত বছরের ২২ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটির নির্মাণকাজের ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। ২৩ কিলোমিটার এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা অপসারণসহ বহুল প্রতীক্ষিত সড়কটির নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন এমপি জাফর আলম। সাথে ছিলেন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আবুল কাশেম, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম প্রমুখ।
সড়কটি কুতুবদিয়ার জনসাধারণের যাতায়াতের এবং চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় উৎপাদিত লবণ, আহরিত চিংড়ি ও সামুদ্রিক সম্পদ দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহনের জন্য ব্যবহার হবে। এছাড়া মগনামা ঘাঁটি হতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে যাতায়াত একেবারে সহজ হবে। এতে উপকৃত হবেন উপকূলীয় এলাকার অন্তত ১০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, প্রকল্পের আওতায় এক কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশ প্রশস্তকরণ, ৬ কিলোমিটার হতে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশের পেভমেন্ট উঁচুকরণ, প্রশস্ততকরণ ও শক্তিশালীকরণ। আবার ২০ কিলোমিটার থেকে ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সড়কাংশ সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনাতে’ যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক এবং যা বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ।
সওজের কর্মকর্তা আবু আহসান আজিজুল মোস্তফা বলেন, দুই লেনের বাইরেও সড়কটির বিভিন্ন অংশে নির্মাণ করা হবে ছোট ছোট সার্ভিস লেনও। পানি চলাচলের জন্য থাকবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউনেস্কো ক্লাব চট্টগ্রামের সভা
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ৪ দোকান পুড়ে ছাই